পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

বক্সার জঙ্গলে নদীর পাঁকে আটকে মৃত্যু হাতির

বক্সার জঙ্গলে নদীর পাঁকে আটকে মৃত্যু হল পূর্ণবয়স্ক হাতির ৷ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর বিষয়টি প্রথম টের পায় স্থানীয়রা । গতকাল বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের সাউথ রায়ডাক রেঞ্জের বনকর্মীরা ঘটনাস্থানে পৌঁছান ৷ নারারথলি জঙ্গলে দেহটির ময়নাতদন্ত করা হয়েছে ।

ছবি

By

Published : Nov 9, 2019, 9:40 AM IST

আলিপুরদুয়ার, 9 নভেম্বর : নদীর পাঁকে আটকে যায় পূর্ণবয়স্ক একটি হাতি । সারারাত জলের বাইরে আসার আপ্রাণ চেষ্টা ৷ কিন্তু পারেনি ৷ শেষমেশ জলে ডুবে মৃত্যু হল হাতিটির ৷ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর বিষয়টি প্রথম টের পায় স্থানীয়রা । তারাই বন দপ্তরকে খবর দেয় । গতকাল বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের সাউথ রায়ডাক রেঞ্জের বনকর্মীরা ঘটনাস্থানে পৌঁছান ৷ দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় নদী থেকে বিরাট আকৃতির দেহটি বার করতে সক্ষম হয়েছেন তাঁরা ৷ আসেন বন দপ্তরের চিকিৎসক । টানা ৩ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণও চলে । পরে নারারথলি জঙ্গলে দেহটির ময়নাতদন্ত করা হয় ।

জল থেকে দেহটি তোলার পর হাতিটির দেহে কোনও বড়সড় আঘাতের চিহ্ন ছিল না ৷ ঘটনার সঙ্গে চোরাশিকারির কোনও সম্পর্কও খুঁজে পাওয়া যায়নি । তাহলে হাতি মৃত্যুর কারণ কী? স্থানীয় বনসুরক্ষা কমিটির সদস্য প্রমিত বড়গোহান বলেন, "মারাখাতা নারারথলি এলাকার সুকান্তটারি জঙ্গলে গত কয়েকদিন ধরেই বড়সড় একটি হাতির দল ঘুরে বেড়াচ্ছে । মনে হচ্ছে হাতিটি কোনও দাঁতালের তাড়া খেয়ে পালাতে গিয়ে জলে পড়ে যায় । পরে পাঁকে পা আটকে যায় ৷ স্থানীয় যাঁরা নদীতে মাছ ধরতে গেছিলেন তাঁরাই প্রথম হাতিটিকে দেখতে পান । সঙ্গে সঙ্গে বন দপ্তরকে খবর দেওয়া হয় । যেহেতু হাতিটির দুটি দাঁত সুরক্ষিত ছিল, তাই এটা চোরাশিকারির ঘটনা নয় । তবে হাতিটি হয় আহত ছিল নয়তো আচমকা জলে পড়ে যায় ৷ "

বন দপ্তরের প্রাথমিক অনুমান, হাতিটি গভীর কোনও সংক্রমণে আক্রান্ত ছিল । সেজন্য দল থেকে হয়ত কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয় । কোনওভাবে নদীতে নেমেছিল । পাঁকে আটকে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যায় । আবার বিষক্রিয়াজনিত কারণেও মৃত্যু হতে পারে ।


উল্লেখ্য, বক্সায় বিষক্রিয়াতেও হাতির মৃত্যু হয়েছে অতীতে । ধান, সবজি ক্ষেতে আগে থেকেই তীব্র বিষ মিশিয়ে রাখা হয় । এলাকায় হাতির দলের উৎপাত বাড়লে স্থানীয়দের একাংশ বিষ মিশিয়ে দেয় ৷ সেক্ষেত্রে বিষক্রিয়ার কবলেও হাতিটির মৃত্যু হতে পারে ৷ এই বিষয়ে, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেক্টর শুভঙ্কর গুপ্ত বলেন, "প্রাথমিক অনুমান গভীর সংক্রমণ । তবে মৃত্যু কেন হল আমরা নিশ্চিত নই । দেহাংশ সংগ্রহ করা হয়েছে । তা কলকাতায় ভিসেরা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে । ভিসেরা রিপোর্টের ভিত্তিতে পরর্বতী পদক্ষেপ নেব আমরা।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details