আলিপুরদুয়ার, 8 এপ্রিল: "বাংলার মানুষকে ভাতে মারার চেষ্টা করা হলে আমরা ছেড়ে কথা বলব না !" শনিবার আলিপুরদুয়ারের সভামঞ্চ থেকে এভাবেই বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারকে হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ একইসঙ্গে, আসন্ন নতুন বাংলা বছরেই একমাসব্যাপী নয়া প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করলেন তিনি ৷ জানিয়ে দিলেন, 100 দিনের কাজ নিয়ে বাংলাজুড়ে আন্দোলনে নামবে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ একইসঙ্গে, এই ইস্যুতে রাজধানী দিল্লিতেও আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ানো হবে ৷ অভিষেকের অভিযোগ, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মানুষ বিজেপিকে হারিয়েছে ৷ সেই হার বিজেপি এখনও সহ্য করতে পারছে না ৷ সেই কারণেই বাংলার মানুষের হকের টাকা আটকে রাখা হচ্ছে ৷ তৃণমূল সাংসদের সাফ কথা, বিজেপি তথা কেন্দ্রের এই আচরণ মেনে নেওয়া হবে না ৷ ভুক্তভোগীদের সঙ্গে নিয়েই এর প্রতিবাদ করা হবে ৷ ভুক্তভোগীরা সরাসরি এ নিয়ে চিঠি পাঠাবেন প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীকে ৷
এদিনের সভামঞ্চ থেকে 100 দিনের কাজের বকেয়া টাকা নিয়ে নতুন আন্দোলনের ডাক দেন অভিষেক ৷ তিনি বলেন, বাংলার প্রায় 20 লক্ষ পরিবার 100 দিনের কাজ করে বসে আছে ৷ অথচ, বকেয়া পারিশ্রমিক পাচ্ছে না ৷ কারণ, কেন্দ্র সেই টাকা আটকে রেখেছে ৷ আরও প্রায় 1 কোটি 38 লক্ষ পরিবার রাজ্যজুড়ে 100 দিনের কাজ করার জন্য আবেদন জানিয়ে বসে আছে ৷ মাথাপিছু ধরলে কাজ চাওয়া এই আবেদনকারী শ্রমিকদের সংখ্য়া প্রায় 2 কোটি 62 লক্ষ ৷ অভিষেকের বক্তব্য, বাংলার মানুষের এই বঞ্চনার প্রতিবাদে সর্বাত্মক লড়াই করতে হবে ৷ তার জন্য 'রোড ম্যাপ'ও তৈরি করে দেন অভিষেক ৷
দলের নেতা ও কর্মীদের উদ্দেশে অভিষেকের নির্দেশ, আগামী 16 এপ্রিল অর্থাৎ 2 বৈশাখ থেকেই রাজ্যজুড়ে নতুন আন্দোলনে নামতে হবে ৷ 100 দিনের কাজে বঞ্চিতদের প্রত্যেকের দরজায় পৌঁছতে হবে ৷ তাঁদের দিয়ে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীকে উদ্দেশ করে চিঠি লেখাতে হবে ৷ কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ, দার্জিলিং থেকে দিঘা, রাজ্য়ের প্রতিটি প্রান্তে, প্রতিটি ব্লকে আগামী একমাস ধরে এই কর্মসূচি পালন করতে হবে ৷ প্রত্যেক ব্লক থেকে 50-100টি করে এমন চিঠি লিখিয়ে তা জমিয়ে রাখতে হবে ৷ একমাস পর অভিষেকের প্রতিনিধিরা সেই চিঠি স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করবেন ৷ পাশাপাশি, কেন্দ্রের কাছ থেকে বকেয়া টাকা আদায়ের দাবিতে রাজ্যজুড়ে জনমত গড়ে তুলতে হবে ৷ করতে হবে সই সংগ্রহ ৷ এভাবে অন্তত 1 কোটি মানুষের সই সংগ্রহ করতে হবে ৷