কলকাতা, 25 জানুয়ারি :শ্বাসকষ্ট নিয়ে সোমবার দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন কোভিড আক্রান্ত সুরজিৎ সেনগুপ্ত। সোমবার রাত পর্যন্ত স্থিতিশীলই ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার। তবে গভীর রাতে তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা অনেকটাই কমে যায়। ফলে পোর্টেবল বাইপ্যাপের সাহায্য নিতে হয় চিকিৎসকদের। এখনও সঙ্কটজনক দিকপাল এই ফুটবলারের চিকিৎসায় এবার এগিয়ে এল রাজ্য সরকার (WB Government take special initiatives for the treatment of Surajit Sengupta) ৷
হাসপাতাল সূত্রে খবর, সোমবার রাতে সুরজিৎ সেনগুপ্তের শরীরে অক্সিজেন স্যাচুরেশন 53-তে নেমে যায়। তারপরেই চিকিৎসকরা পোর্টেবল বাইপাপের সাহায্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা। পরবর্তীতে অক্সিজেনের মাত্রা 70-এর আশেপাশে এলেও খুব একটা সন্তোষজনক ফল পাওয়া যাচ্ছে না। সেই কারণে পুরোমাত্রায় পোর্টেবল বাইপাপের সাহায্য নেওয়ার কথা ভাবছেন চিকিৎসকেরা। সোমবার কোভিড আক্রান্ত প্রাক্তন ফুটবলারকে এইচডিইউ-তে রেখে সাতদিন পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা। তবে গভীর রাতে নতুন করে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় আইসিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয় সত্তর-আশির দশকের তারকা ফুটবলারকে।
মঙ্গলবার বিকেলে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের উদ্যোগে সুরজিৎ সেনগুপ্তের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয় নব মহাকরণে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার বিদেশ বসু, মানস ভট্টাচার্য, সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেবজিৎ ঘোষ, আইএফএ সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়, সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। ছিলেন ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার, মোহনবাগান অর্থ সচিব দেবাশিস দত্ত, মহমেডান স্পোর্টিং সচিব দানিশ ইকবালও ৷ বৈঠকে ক্রীড়ামন্ত্রীর প্রস্তাব মেনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সুরজিৎ সেনগুপ্তের চিকিৎসার জন্য উচ্চপর্যায়ের মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে ৷
আরও পড়ুন : Surajit Sengupta Hospitalized : কোভিডে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে সুরজিৎ সেনগুপ্ত
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রয়োজন হলে রাজ্য সরকার জরুরি ভিত্তিতে তার ব্যবস্থা করবে বলে জানানো হয়েছে। রাজ্য সরকারের অনুরোধে কোভিড বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যোগীরাজ রায় শীঘ্রই সুরজিৎ সেনগুপ্তকে দেখতে যাবেন । ক্রীড়ামন্ত্রী এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে সুরজিৎবাবুর স্ত্রী ও পুত্রের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে । প্রাক্তন সতীর্থের অসুস্থতার খবরে উদ্বিগ্ন ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়ও নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন সুরজিতের পরিবারের সঙ্গে। উদ্বিগ্ন অনুরাগীরাও।