কলকাতা, 20 মার্চ : ফুটবল হোক বা ক্রিকেট ৷ খেলার মাঠে জীবন সংশয় যে কোনও সময় ঘটতে পারে ৷ তাই আর্থিক নিরাপত্তাকে পাশে রেখে মাঠে যে কোনও খেলোয়াড়ের ন্যূনতম চাহিদাটুকু কী হতে পারে ? অন্ততপক্ষে সেবাযানের ব্যবস্থা আর সঙ্গে প্রাথমিক চিকিৎসার বন্দোবস্ত ৷ শনিবার এই ন্যূনতম প্রাথমিক চাহিদাটুকুর অভাবে কুঁড়িতেই ঝরে গেল একটি তরতাজা ফুটবলারের প্রাণ ৷ গত মরশুমে কলকাতা প্রিমিয়র লিগে রেলওয়ে এফসি'র রানার্স হওয়ার অন্যতম কারিগর ছিলেন কৃষ্ণনগরের দেবজ্যোতি ঘোষ ৷ জিতেছিলেন একাধিক ম্যাচ সেরার পুরস্কারও ৷ তবু অভাবের সংসার ৷ তাই অফ-সিজনে খেপের মাঠ থেকে ডাক এলে না করতেন না ৷ ছোটদলের ফুটবলাররা যেটা আকছার করে থাকেন ৷
সবই ঠিক ছিল ৷ শুধু ওই ন্যূনতম অথচ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আয়োজনটুকুই হয়ত রাখতে ভুলে গিয়েছিলেন আয়োজকরা ৷ পাশেই ধুবুলিয়ার বেলপুকুরে স্থানীয় এক টুর্নামেন্ট খেলতে গিয়ে শনিবার দেবজ্যোতির বুকে বল লাগে ৷ এরপর সম্ভবত হৃদযন্ত্রের জটিলতার কারণেই মৃত্যু হয় তাঁর ৷ মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিল বছর পঁচিশের ছেলেটা ৷ শুরু হয় বমি ৷ অথচ মাঠে প্রাথমিক চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থা তো ছিলই না, এমনকী কোনও অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও নাকি ছিল না আয়োজক কমিটির তরফে ৷ যদিও আয়োজক কমিটির তৎপরাতেই দেবজ্যোতিকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে খবর ৷ পরে শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল ৷ কিন্তু দেবজ্যোতি ততক্ষণে চিরঘুমের দেশে (Railway FC footballer dies due to cardiac arrest during a match on Saturday) ৷