কলকাতা, 7 সেপ্টেম্বর: মরশুমের প্রথম হ্যাটট্রিক ইস্টবেঙ্গলে ৷ সৌজন্যে জেসিন টিকে ৷ দক্ষিণী স্ট্রাইকারের হ্যাটট্রিকে কলকাতা লিগের প্রাথমিক পর্বের শেষ ম্যাচে জর্জ টেলিগ্রাফকে 4-0 গোলে হারাল লাল-হলুদ ৷ ডুরান্ড কাপের ফাইনালে হারের পর কলকাতা লিগের ম্যাচ। সিনিয়র দলের হারের ধাক্কা যুব দলের ওপর পড়ে কি না, সেটাই ছিল দেখার। কিন্তু বৃষ্টিভেজা লক্ষ্মীবারের বিকেলে চার গোলে অনায়াস জয় ইস্টবেঙ্গলের। জয়ের ফলে শীর্ষে থেকেই সুপার সিক্সে পৌঁছে গেল ইমামি ইস্টবেঙ্গল।
আগেই ইঙ্গিত ছিল সিনিয়র দলের বেশ কিছু ফুটবলারকে কলকাতা লিগের এই ম্যাচের একাদশে দেখা যাবে। পূর্বাভাস মতই সিনিয়র দলের গোটা আটেক ফুটবলারদের দিয়ে প্রথম একাদশ সাজিয়েছিলেন বিনো জর্জ। তবুও গোল পেতে ইস্টবেঙ্গলকে প্রথমার্ধ অপেক্ষা করতে হল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে জেসিন টিকে এবং পিভি বিষ্ণুকে নামান বিনো জর্জ। জোড়া পরিবর্তনের পরেই গোলের খাতা খোলা শুরু ইস্টবেঙ্গলের। 46 থেকে 50 মিনিটের মধ্যে লাল-হলুদ ঝড়ে কার্যত খড়কুটোর মত উড়ে গেল জর্জ ৷ জোড়া গোল জেসিন টিকে'র ৷ একটি গোল পিভি বিষ্ণুর।
46 মিনিটে জেসিন টিকে'র প্রথম গোল একক দক্ষতায় ৷ জর্জের দুই ফুটবলারকে কাটিয়ে গোল করে যান ইস্টবেঙ্গল ফুটবলার। দু'মিনিট পর ফের গোল কেরল স্ট্রাইকারের। 50 মিনিটে ব্যবধান বাড়ান আরেক পরিবর্ত ফুটবলার পিভি বিষ্ণু। 81 মিনিটে হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেন জেসিন। পেনাল্টি থেকে গোল করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তিনি। প্রথমার্ধে অগোছালো ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধের ইস্টবেঙ্গল বদলে যায় মাঝমাঠে শৌভিক চক্রবর্তী ফিরতেই ৷ গোল পেতে নিজেদের খেলায় বদল করে তারা। কোচ বিনো জর্জ স্বাভাবিকভাবেই খুশি। আপাতত নতুনভাবে দলকে সাজাতে চাইছেন সুপার সিক্সের কথা মাথায় করে।
আরও পড়ুন:দু’বার এগিয়ে গিয়েও ইরাকের কাছে হার, টাইব্রেকারে ধরাশায়ী সুনীল-হীন ভারত
12 ম্যাচে 30 পয়েন্ট পাওয়ার সুবিধা সুপার সিক্সে পাবে ইস্টবেঙ্গল। যদিও বিনো জর্জ শূন্য থেকে শুরু করার কথা বলছেন। তাঁর মতে ফুটবলাররা খেলতে খেলতে অভিজ্ঞ হতেই কীভাবে ম্যাচ বের করতে হবে, তা জেনে গিয়েছে। সুপার সিক্সে ম্যাচ ধরে পরিকল্পনা সাজানোর কথা বলেছেন। অন্য দিকে অবনমন বাঁচাতে এই ম্যাচ থেকে একটা পয়েন্ট দরকার ছিল জর্জ টেলিগ্রাফের। সেই চেষ্টা ব্যর্থ হতে হতাশা জর্জ শিবিরে।