কলকাতা, 27 জুলাই: চার বছর পর ফের পুরনো ছন্দে ময়দান। মহমেডান স্পোর্টিং, মোহনবাগান মাঠে খেলা ফিরেছিল । অবশেষে ইস্টবেঙ্গল মাঠেও বল গড়াল । চলতি কলকাতা লিগে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল ফিরল তাদের মাঠে । বাকি দুই প্রধানের মাঠেও সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয় । ইস্টবেঙ্গলও ব্যতিক্রম নয় ।
ইস্টার্ন রেল এখন নামেই তালপুকুর । অতীতে জায়ান্টকিলার তকমা কেবলই খাতায়-কলমে । ইস্টবেঙ্গলের 5-1 গোল রেলের চাকা স্তব্ধ করে দিল । ম্যাচের সেরা আমন সিকে'র জোড়া গোল ছাড়াও গেল পেলেন অভিষেক, গুইতে, রাজিবুর। ইস্টার্ন রেলের হয়ে একমাত্র গোল দিব্যেন্দু চন্দ’র । 5 ম্যাচে 11 পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে দু’নম্বরে লাল-হলুদ ।
19 মিনিটে দীপ সাহা’র ফ্রি’কিক বারে লেগে প্রতিহত হলে ফিরতি বল জালে পাঠান অভিষেক কুঞ্জম । এগারো মিনিট পরে ফের গোল ইস্টবেঙ্গলের । অভিষেকের শট ইস্টার্ন রেল ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে প্রতিহত হলে ফিরতি বল জালে পাঠান নবাগত ভানলালপেকা গুইতে । পাঁচ মিনিট পরে ইস্টবেঙ্গলের তিন নম্বর গোল নিরঞ্জন মণ্ডল এবং আমন সিকে’র যুগলবন্দিতে । নিরঞ্জনের পাস থেকে গোল করেন আমন সিকে । বিরতির আগেই তিন গোলে ম্যাচের ভাগ্য কার্যত নিশ্চিত হয়ে যায়। গোল সংখ্যা আরও বাড়ত যদি না ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা সুযোগ নষ্ট করতেন । 52 মিনিটে ব্যবধান কমায় ইস্টার্ন রেল । গোলদাতা দিব্যেন্দু চন্দ । প্রথমার্ধে 3 গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরে অন্তত আরও চারটে গোল করতে পারত ইস্টবেঙ্গল । শেষপর্যন্ত আমন সিকে এবং রাজিবুর মিস্ত্রি গোল করায় পাঁচ গোলে জয় নিশ্চিত করে লাল-হলুদ । তৃপ্তির হাসি কোচ বিনো জর্জের মুখে । দল ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে, ম্যাচের আগে কার্লোস কুয়াদ্রাত ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলেছেন । যা কার্যত পেপ টকের কাজ করেছে বলে স্বীকার করলেন ম্যাচের সেরা আমন সিকে । অন্যদিকে, 5 গোলের ব্যর্থতায় ম্যাচের শেষেই ইস্টার্ন রেলের কোচ প্রশান্ত চক্রবর্তী পদত্যাগ করেন ৷