কলকাতা, 24 জুলাই: কলকাতা বিমানবন্দরের বাইরে পা রেখেই প্রত্যাশার পারদ কতটা, তা বুঝে গেলেন ইস্টবেঙ্গলের নতুন কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত ৷ মধ্যরাত পেরিয়ে ঘড়ির কাটা আরও এগিয়ে ৷ দমদম বিমানবন্দরে তখন অসংখ্য লাল-হলুদ সমর্থকের ভিড় ৷ মুখে স্লোগান, গান প্রিয় ইস্টবেঙ্গল এবং তার কোচকে নিয়ে ৷ কার্লোস কুয়াদ্রাত এলেন ৷ তবে একা নন, সঙ্গে কোচিং ব্রিগেডের বাকি দুই সদস্য অ্যালবার্ট মার্তিনেজ এবং দিমাস দেলগাডো ৷ নতুন ক্লাব নতুন চ্যালেঞ্জ ৷ তাঁর কাছে প্রত্যাশা যে অনেক, শহরে পা দিয়ে সেই উত্তাপ উপলব্ধি করলেন কুয়াদ্রাত ৷
গভীর রাতে অসংখ্য সমর্থকের উপস্থিতিতে কার্যত অবাক হয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের নতুন কোচ ৷ সমর্থকরা কার্লোস কুয়াদ্রাতকে ইতিমধ্যে প্রফেসর বলে ডাকতে শুরু করেছেন ৷ কথা না বললেও সমর্থকদের আবদারের ভাষা বুঝে গিয়েছেন ৷ ভারতীয় ফুটবলে কার্লোস কুয়াদ্রাত নতুন নন ৷ বেঙ্গালুরু এফসির ডাগ আউটে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে ৷ সাফল্যের স্বাদ সেখানে বসেও পেয়েছেন ৷ সেই সময় কলকাতা ফুটবলের উন্মাদনা বিপক্ষের ডাগ-আউটে বসে দেখেছিলেন ৷ এবার তা গায়ে নিয়ে দল পরিচালনা করতে হবে তাঁকে ৷
ভিসা সমস্যায় ভারতে পা দিতে কিছুটা দেরি হয়েছে ৷ তবে, স্পেনে বসেই দলের প্রস্তুতির রিমোট কন্ট্রোলটা হাতে রেখেছিলেন ৷ বিনো জর্জকে নির্দেশ দিয়ে দলের প্রস্তুতির প্রাথমিক নকশাটা মেলে ধরেছেন ৷ কলকাতা লিগে ইস্টবেঙ্গল খেলছে ৷ যুব দল হলেও, তাদের প্রতিদিনের পারফর্ম্যান্স নিয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন ৷ বিমানবন্দরে কার্লোস কুয়াদ্রাত এবং কোচিং ব্রিগেডের বাকি দুই সদস্যকে ফুলের তোড়া এবং লাল-হলুদ পতাকা উত্তরীয় দিয়ে স্বাগত জানানো হয় ৷ বিমানবন্দরের বাইরে গগনভেদী চিৎকারে সমর্থকদের মেজাজটা বুঝতে পেরেছেন ৷ তাই নিজের সেরাটা দিয়ে সাফল্য নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিলেন কার্লোস ৷