কলকাতা, 17 ডিসেম্বর : ডার্বির নিরাপত্তা ঘিরে প্রশ্ন চিহ্ন তৈরি হয়েছে । ফলে 22 ডিসেম্বর ডার্বি করা সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে । মোহনবাগানের অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত বলছেন, ম্যাচের দিন পর্যাপ্ত পুলিশ দেওয়া সম্ভব হবে না এই রকম কোনও বার্তা পুলিশের তরফে তাঁদের কাছে আসেনি । তবে CAA ও NRC ঘিরে যে অস্থিরতা পথে ঘাটে হচ্ছে তাতে একটা আশঙ্কা তো রয়েছে । মোহনবাগান ক্লাব আই লিগের প্রথম ডার্বি আয়োজনে কোনও ত্রুটি রাখবে না । ইতিমধ্যে, এই সবুজ মেরুন ক্লাব কর্তারা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে ।
বিধাননগর কমিশনারেট 25 ডিসেম্বর ISL-র ম্যাচ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে করার অনুমতি দিচ্ছে না । বড় দিনের উৎসবের নিরাপত্তার ঝক্কির পাশাপাশি বাড়তি চাপ নিতে চাইছে না বিধাননগর পুলিশ ৷ এখনও ডার্বি নিরাপত্তা ঘিরে সরাসরি নিষেধাজ্ঞা তোলেনি পুলিশ । তাই ম্যাচ আয়োজনের সবুজ সংকেত দিলেও একটা খটকা রয়েছে । যদি শেষ পর্যন্ত ম্যাচ না হয় সেক্ষেত্রে 29 ডিসেম্বর হতে পারে আই লিগের প্রথম ডার্বি ।
অন্যদিকে, সালভো চামারোর পরিবর্তে সেনেগালের স্ট্রাইকার পাপা বাবাকার দিওয়াড়াকে নিল মোহনবাগান । 31 বছর বয়সি স্ট্রাইকার লা লিগায় খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন । ইতিমধ্যে ভারতে আসার জন্যে ভিসার আবেদন করে দিয়েছেন বলে ক্লাব সূত্রে জানানো হয়েছে । তবে, তাঁর নথিভুক্তকরণ আই লিগের দলবদলের দ্বিতীয় উইন্ডোতে হবে, না কি তিনি ফ্রি ফুটবলার এ ব্যাপারটি পরিষ্কার নয় । যদি তিনি ফ্রি হন, তাহলে তাঁকে ডার্বিতে খেলানোর চেষ্টা করবে মোহনবাগান । স্প্যানিশ মিডিও কলিনাসের চোট ঘিরে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বাগানে । সোমবার গোকুলাম FC-র বিরুদ্ধে হাঁটুতে চোট পান কলিনাস । তাঁর হাঁটুর MRI হয়েছে । রিপোর্ট না এলেও সম্ভবত ডার্বিতে নেই কলিনাস ।
আগামী রবিবার আই লিগের প্রথম ডার্বিতে সল্টলেক স্টেডিয়ামে মুখোমুখি মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল । প্রথম ডার্বির আয়োজক মোহনবাগান । ইতিমধ্যে, ইস্ট-মোহন আই লিগের পয়েন্ট টেবিলে প্রথম দু'টো স্থান দখলে নিয়েছে । দুই স্প্যানিশ আলেয়ান্দ্রো মেনেনডেজ় গার্সিয়া ও কিবু ভিকুনার মগজাস্ত্রের দ্বৈরথের অপেক্ষায় চড়ছে পারদ । টিকিটের চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে ।
প্রত্যাশিত টিকিট বিক্রি না হওয়ায় শঙ্কিত সবুজ মেরুন কর্তারা । যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে একটি ম্যাচ আয়োজনে আনুমানিক তিরিশ লাখ টাকা খরচ হয় । এই বিপুল অঙ্কের টাকার ঝক্কি এড়াতে আই লিগের বাকি ম্যাচ কল্যানী স্টেডিয়ামে খেলছে মোহনবাগান । বিপুল সংখ্যক সমর্থক যাতে মাঠে আসতে পারেন, সে কারণেই যুবভারতীতে বড় ম্যাচের আয়োজন ।