কলকাতা, 25 মে : বিনিয়োগ সংস্থার সঙ্গে চুক্তি জট খোলার জোরালো ইঙ্গিত ইস্টবেঙ্গলে । অতি সম্প্রতি এসসি ইস্টবেঙ্গলের তরফে বলা হয় লাল হলুদ কর্তারা যদি চূড়ান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করার বিষয়টি নিয়ে টালবাহানা করেন, তাহলে তাদেরও বিষয়টি ভাবতে হবে । বিনিয়োগ সংস্থার কর্ণধার হরিমোহন বাঙ্গুর এবিষয়ে যাবতীয় বক্তব্য রেখেছিলেন । ফলে চুড়ান্ত চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করা নিয়ে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের নানান টালবাহানা অন্যমাত্রা পায় ।
অবস্থা এতটাই চরমে ওঠে যে চলতি মরসুমে আইএসএলে অংশ না নেওয়ার বিষয়ে এসসি ইস্টবেঙ্গল, এফএসডিএলকে তাদের অপারগতা জানিয়ে দিতে পারে বলেও আশঙ্কা তৈরি হয় । ফলে লাল হলুদ জনতা তাঁদের ক্লাবের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কিত হয়ে পড়েন । তাছাড়া গত মরসুমে ইস্টবেঙ্গলকে আইএসএলে খেলানোর ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছিলেন স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী । বিনিয়োগ সংস্থা কী হবে, তাও ঠিক করার ব্যবস্থা করেছিলেন তিনিই । নবান্নে তাঁর সামনেই ক্লাব এবং বিনিয়োগ সংস্থার মধ্যে মউ চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল । তাছাড়া মউ চুক্তি এবং চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে বিস্তর ফারাক রয়েছে বলে জানানো হয় ক্লাবের তরফে । বিনিয়োগ সংস্থার তরফে কোথায় কী পার্থক্য তা নিয়ে জানতে চেয়ে গত মাসের শেষে চিঠি দেওয়া হয়েছিল । মাঝে অনেকটা সময় গড়িয়েছে । অবস্থা হাতের বাইরে চলে যেতে পারে এই আশঙ্কায় অবশেষে নরম হওয়ার ইঙ্গিত দিল ইস্টবেঙ্গল । প্রেসিডেন্ট চিকিৎসক প্রণব দাশগুপ্ত মঙ্গলবারই বিনিয়োগ সংস্থার চিঠির উত্তর দিতে চলেছেন বলে খবর । এবিষয়ে সোমবার লাল হলুদ কর্তারা আলোচনায় বসেছিলেন বলে খবর । যদিও তা ক্লাব স্বীকার করেনি ।