বেঙ্গালুরু, 4 নভেম্বর: প্রথমে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন 2 সপ্তাহের বিশ্রাম এবং চিকিৎসায় সেরে উঠবেন ৷ কিন্তু, 2 সপ্তাহ পরেও বাঁ-পায়ের গোড়ালির চোট সারেনি ৷ শনিবার সকালে বিসিসিআই-এর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, হার্দিক বিশ্বকাপ থেকে ছিটকেই গেলেন ৷ এই খবরে হতাশ ভারতীয় অলরাউন্ডার নিজেও ৷ সোশাল মিডিয়ায় হার্দিকের পোস্ট, 'সত্যিটা হজম করা কঠিন' ৷ যে টুর্নামেন্টের জন্য এত প্রস্তুতি সেখান থেকে মাঝপথে চোটের কারণে ছিটকে যাওয়ার বিষয়টি মানতে পারছেন না তিনি ৷
শনিবার বোর্ডের তরফে হার্দিকের বাকি টুর্নামেন্টে খেলতে না পারার খবর জানানোর পরেই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন অলরাউন্ডার ৷ হার্দিক লেখেন, "সত্যিটা হজম করা খুব কঠিন যে আমি বিশ্বকাপের বাকি ম্যাচগুলিতে খেলতে পারব না ৷ তবে, আমি আত্মিকভাবে দলের সঙ্গে থাকব ৷ প্রতিটি ম্যাচের প্রতিটি বলে দলকে উৎসাহ দেব ৷ সকলের সমর্থন, শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসার জন্য ধন্যবাদ জানাই ৷ এই দলটা খুব স্পেশাল ৷ আমি নিশ্চিত আমরা সবাইকে গর্বিত করতে পারব ৷ হার্দিক পান্ডিয়ার তরফে ভালোবাসা ৷"
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে হার্দিক তাঁর প্রথম ওভারের তিন নম্বর বলে লিটন দাসের স্ট্রেট ড্রাইভ ডান পা দিয়ে আটকাতে যান ৷ ফলো-থ্রুতে আসা বল আটকাতে গিয়ে দেহের ভারসাম্য হারান ভারতের সহ-অধিনায়ক ৷ আর তাঁর পুরো শরীরের ভার গিয়ে পড়ে বাঁ-পায়ের উপর ৷ তখনই বাঁ-পায়ের গোড়ালি মুচড়ে যায় ৷ মাটিতে আছড়ে পড়েন হার্দিক ৷ যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন ৷ ফিজিও মাঠে আসেন ৷ পায়ে টেপ করে দেন ৷ চলে প্রাথমিক চিকিৎসাও ৷ কিন্তু, মাটিতে পা পর্যন্ত ফেলতে পারছিলেন না ৷ এই পরিস্থিতিতে তাঁকে জোর করে মাঠের বাইরে পাঠান অধিনায়ক রোহিত শর্মা ৷
আরও পড়ুন:বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেন হার্দিক, প্রোটিয়া ম্যাচের আগে চাপ বাড়ল রোহিতের
পরে হাসপাতালে স্ক্যান রিপোর্টে দেখা যায়, কোনও বড় চোট ধরা পড়েনি ৷ বলা হয়েছিল 2 সপ্তাহের বিশ্রাম ও শুশ্রূষায় সেরে উঠবেন হার্দিক ৷ বেঙ্গালুরুর এনসিএ-তে রিহ্যাবও শুরু করেন ৷ মনে করা হচ্ছিল বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের আগে সুস্থ হয়ে ফিরে আসবেন ৷ আজ সকালে বোর্ডের প্রকাশিত তথ্যে সেই আশাও শেষ হয়ে গেল ৷ কবের মধ্যে পুরোপুরি ফিট হবেন হার্দিক ? তা এখনও জানা যায়নি ৷ কিন্তু, গোড়ালির চোট যে সামান্য নয়, তা ভালোই আন্দাজ করা যাচ্ছে ৷