কলকাতা, 9 মে: আরআরআর-এ ভর করে প্লে-অফের আশা আরও বাঁচিয়ে রাখল কেকেআর ৷ অধিনায়ক নীতীশ রানা শুরুটা করেছিলেন ৷ বাকিটা শেষ করলেন আন্দ্রে রাসেল এবং রিঙ্কু সিং ৷ ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলের ব্যাটে অবশেষে ঝড় উঠল ৷ মোক্ষম সময়ে তাঁর 23 বলে 42 রান নাইটদের জয়ের কাছে পৌঁছে দেয় ৷ আর শেষ ওভারের থ্রিলারে, বাকি কাজটা শেষ করলেন রিঙ্কু সিং ৷ ম্যাচ শেষে ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিতে গিয়ে তাই রাসেল জানালেন, রিঙ্কু ম্যাচ শেষ করে আসবে ৷ এটা তাঁর বিশ্বাস ছিল ৷
দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা রিঙ্কুর ক্রিকেট যেন ব্রাত্য জনের উত্তরণ ৷ লোয়ার মিডল অর্ডারে প্রতিটি ম্যাচে পরিস্থিতি অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন উত্তরপ্রদেশের ছেলেটি ৷ তাই মাঠে আন্দ্রে রাসেল থাকা সত্ত্বেও ইডেন যখন রিঙ্কু সিংয়ের নামে জয়ধ্বনি করে, তা ভালোবাসা ও আস্থার স্বীকৃতি হিসেবে ধরা দেয় ৷ অধিনায়ক নীতীশ রানা বলছেন, “রিঙ্কুর নামে এই চিৎকারটা ওর প্রাপ্তি ৷ ম্যাচের সেরা আন্দ্রে রাসেল বলছেন, “রিঙ্কু উইকেটের উলটো দিকে থাকা মানেই কাজটা সহজ হয়ে যায় ৷ কোনও চাপ থাকে না ৷” সত্যিই রিঙ্কুর 10 বলে অপরাজিত 21 রান না থাকলে ৷ কিংবা শেষ বলের থ্রিলারে বাজিমাত না হলে, বাকি দুই ‘আর’ রানা এবং রাসেলের 51 ও 42 রানের ইনিংসের দাম থাকত না ৷
19 ওভারে স্যাম কারেনকে তিনটি ছক্কায় আন্দ্রে রাসেল ম্যাচ পকেটে পুরে ফেলেছিলেন ৷ ঘুর্ণিধঝড় মোকার অপেক্ষায় থাকা কলকাতা ইডেনে রাসেল ঝড় দেখল ৷ দ্রে-রাস ঝড় অনেক দিন ধরেই বকেয়া পড়েছিল ৷ হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ইঙ্গিত মিলেছিল ৷ অবশেষে তা আছড়ে পড়ল ইডেনে ৷ আর তাতেই পঞ্জাব কিংসের 179 রান টপকে ইডেনে বাজল ‘করব লড়ব জিতব রে’ ৷