ওয়াংখেড়ে, 2 নভেম্বর:2011 সালে 2 এপ্রিল, ঠিক এক যুগ আগে এই দিনে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামেই ক্রিকেট জীবনের একটি বৃত্ত পূর্ণ করেছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর ৷ 1987 সালের বিশ্বকাপে বলবয়ের দায়িত্ব পালন করা তরুণ ক্রিকেটারের হাতে সেদিন উঠেছিল বিশ্বকাপের ট্রফি ৷ বারবার তিনি বলেছেন, কপিল দেবের হাতে প্রুডেনশিয়াল কাপ দেখার পর থেকেই তিনি চেয়েছিলেন দেশকে বিশ্বকাপ জেতাতে ৷ কিন্তু স্বপ্ন পূরণের খুব কাছাকাছি এসেও 2003 সালে ট্রফি ছুঁতে পারেননি 'ক্রিকেট ঈশ্বর' ৷ 'ম্যান অফ সিরিজ'-এর সোনার ব্যাটই সেদিন ছিল সান্ত্বনা ৷ ঠিক আট বছর পর ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে পূর্ণ হয় লিটল মাস্টারের কঠিন লড়াই ৷ এরপর সচিনকে কাঁধে সারা মাঠে চক্কর দিয়েছিলেন বিরাট কোহলিরা ৷ সেই বিরাটের খেলা দেখতেই বৃহস্পতিবার ওয়াংখেড়েতে হাজির মাস্টার ব্লাস্টার ৷ আজ তিনি দর্শকাসনে বসে গলা ফাটাবেন বি-রা-ট, বি-রা-ট স্বরে ।
একদিন এই গ্য়ালারিতেই উঠত স-চি-ন, স-চি-ন স্লোগান ৷ অবশ্য় সেই চিৎকার মনে পড়ে গেল এদিনও ৷ মাঠে সতীর্থ মুথাইয়া মুরলিধরনের সঙ্গে স্বপ্নের ট্রফি হাতে পা রাখলেন মাস্টার ব্লাস্টার ৷ আর গোটা ওয়াংখেড়ে যেন চিৎকার করে শুভেচ্ছা জানাল তাঁদের কাছের মানুষকে ৷ বুধবার এই স্টেডিয়ামে সচিন তেন্ডুলকর স্ট্যান্ডের ঠিক পাশেই তাঁর একটি 22 ফুট উঁচু মূর্তি উন্মোচন করা হয়েছে ৷ সোশাল মিডিয়ায় সেই মূর্তির একটি ছবিও এদিন শেয়ার করেছেন লিটল মাস্টার ৷ আর সঙ্গে শেয়ার করেছেন প্রথমবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের সঙ্গে তাঁর পরিচয়ের কাহিনি ৷
আরও পড়ুন:ওয়াংখেড়েতে উন্মোচিত হল ‘বাইশ গজের ঈশ্বরের’ 22 ফুটের মূর্তি