তিরুবনন্তপুরম, 21 জুন: সেপ্টেম্বরেই উঠে যাচ্ছে নির্বাসনের খাঁড়া ৷ তারপর থেকে ক্রিকেটকেই ধ্যানজ্ঞান করতে চান এস শ্রীসন্থ ৷ নির্বাসন ওঠার পর নিজের রাজ্যের হয়ে রণজি ট্রফিতে প্রত্যাবর্তন করতে চলেছেন তিনি ৷ বাইশ গজে ফেরার সুযোগ পেয়ে আপ্লুত শ্রীসন্থ বলেন, সুযোগ পেলে ফের জাতীয় দলের হয়ে খেলতে চান ৷
সুযোগ পেলে ফের জাতীয় দলের হয়ে খেলতে চান শ্রীসন্থ
আর ব্যর্থতায় ভয় পান না ৷ সুযোগ পেলে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে চান ৷ বললেন কেরালার 37 বছরের পেসার এস শ্রীসন্থ ৷
শ্রীসন্থ বলছেন তিনি কারও সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামবেন না ৷ শুধুমাত্র নিজের ক্রিকেট অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে অন্যদের সাহায্য করার চেষ্টা করবেন ৷ কেরালা পেসারের কথায়, "এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আসিনি ৷ শুধুমাত্র নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে অন্যদের সাহায্য করতে চাই ৷ এর মধ্যে যদি নির্বাচকদের মনে হয় তারা আমায় সুযোগ দেবেন তাহলে কেন খেলব না ৷ ভারত 2021 টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেললে ওই ম্যাচে খেলতে চাই ৷" কেরালার রণজি টিমে শ্রীসন্থকে অন্তর্ভুক্ত করেছে কেরালা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ৷ যদিও তার আগে ফিটনেস পরীক্ষায় উতরোতে হবে তাঁকে ৷ তারপরই শুরু হবে নিজেকে ফের প্রমাণ করার লড়াই ৷ শ্রীসন্থ বলছেন, ব্যর্থতার ভয় এখন আর তাঁকে গ্রাস করে না ৷ তবে কেরালা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন যে সুযোগ করে দিয়েছেন তাতে আপ্লুত তিনি ৷ তাঁর কথায়, "এমন সুযোগ পেয়ে আমি আপ্লুত ৷ এখন আর ব্যর্থতার ভয় নেই ৷ হেরে যাওয়ার ভয় অনেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতেই চায় না ৷"
2013 সালে IPL-এ রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলাকালীন স্পট ফিক্সিংয়ে জড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল শ্রীসন্থের বিরুদ্ধে ৷ দিল্লি পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে ৷ ঘটনার পরই শ্রীসন্থকে আজীবন নির্বাসন দেয় BCCI ৷ পরে 2015 সালে দিল্লির বিশেষ আদালত তাঁকে সবরকম অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয় ৷ তা সত্ত্বেও নির্বাসন তুলতে চায়নি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ৷ আদালতে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অবশেষে গত বছর BCCI-এর তরফে তাঁর শাস্তি কমিয়ে সাত বছর করা হয় ৷ চলতি বছরের সেপ্টেম্বরেই শেষ হচ্ছে তাঁর শাস্তির মেয়াদ ৷