বার্মিংহাম, 2 জুলাই : কে জিতবে আজ এজবাস্টনে? প্রতিবেশী বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জিততে আজ মরিয়া বিরাটবাহিনী। এ দিকে ভারতকে এক বিন্দুও জমি ছাড়তে রাজি নন লিটন, তামিম, শাকিবরা ।
বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরফি মোর্তাজা গতকালই ম্যাচের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে জানিয়েছিলেন মাঠের এক দিকের ছোট বাউন্ডারির সুযোগ নেবেই তাঁর দল । অবশ্য তার আগে নিজের দেশের সমর্থকদের উদ্দেশে অন্য একটি আবেদন জানালেন মোর্তাজা। বললেন, "সকলে চায় যে দু'দলের মধ্যে চমকার একটা ক্রিকেট ম্যাচ হোক । প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকুক, কিন্তু সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেন সীমা লঙ্ঘন না করে ।"
2015 বিশ্বকাপ হোক বা এশিয়া কাপ ফাইনাল । কখনও ধোনির কাটামুন্ডু নিয়ে ছবি পোস্ট করা, কখনও ভারতের বিরুদ্ধে একের পর এক বিদ্বেষমূলক মন্তব্য। বাদ যায়নি ICC-ও । ম্যাচ হারলেই বিভিন্নভাবে ভারতের পক্ষপাত করার অভিযোগ এনে ICC-র বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বাংলাদেশের সমর্থকরা । এছাড়াও 2017 সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে তাঁদের দল হারলেও জনৈক বাংলাদেশি সমর্থকরা কোহলিকে নিয়ে আপত্তিকর ছবি পোস্ট করেছিল সোশাল মিডিয়ায় । বিতর্ক তৈরি হয় তা নিয়েও ।
দুই দেশের সমর্থকদের বাগযুদ্ধ উপমহাদেশের ক্রিকেটে এক নতুন দ্বৈরথ তৈরি করেছে । ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেই সবচেয়ে বেশি উত্তেজনা থআকে এমনটাই বলা হয়ে থাকে। তবে ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচেও দু'দেশের ক্রিকেট ভক্তদের মধ্যে এমন 'সোশাল মিডিয়া যুদ্ধ' দেখা যায় না। ধোনি বনাম মাশরফি যুদ্ধ ক্রিকেটের মাঠ পেরিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও হানা দিয়েছেএ বার।
ওয়ানডে ক্রিকেটে মুখোমুখি ম্যাচের রেকর্ডে এখনও ভারত এগিয়ে, পরিসংখ্যান 29-5 । বাংলাদেশের থেকে তাই অনেকটাই এগিয়ে ভারত । তবে দু'দেশের সমর্থকদের দ্বৈরথের রেকর্ড সমান সমান । বাংলাদেশ একদিনের সিরিজ় হারের পর সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মাথা মুড়ানো কার্টুন । তাতে লেখা, মুস্তাফিজ়ুরের কাটারে এমনই অবস্থা হয়েছে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের । তার আগে অবশ্য বাংলাদেশের ক্রিকেট-ভক্তদের রাগের কারণ ছিল ভারতীয় একটি চ্যানেলের মওকা মওকা বিজ্ঞাপন ।
এর পরে নিদাহাস ট্রফিতে ম্যাচ জিতে নাগিন ডান্স করেছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটারেরা । দীনেশ কার্তিক ফাইনালে শেষ ওভারে ভারতকে জেতানোর পরে এ বার ভারতীয় সমর্থকেরা 'ইন্টারনেট স্ট্রাইক' চালালেন । কার্তিকের হাতে বীণা ধরিয়ে তাঁকে সাপুড়ে সাজানো হল । ম্যাচের রেজ়াল্ট যাই হোক সমর্থকদের মনোভাব, "বিনা 'মিম'-এ ছাড়িব না সূচাগ্র সোশাল মিডিয়া ।"