কলকাতা : টেলিভিশনে টেলিকাস্টও হয়নি সেই এপিসোড । OTT প্ল্যাটফর্মে আপলোড হয়েছে প্রথমে । সেখানেই একটি দৃশ্য নিয়ে তোলপাড় সোশাল মিডিয়া । কথা হচ্ছে 'কৃষ্ণকলি' ধারাবাহিক সম্পর্কে । একটি দৃশ্যে রোগীর বুকে ডিফেব্রিলেটরের জায়গায় স্ক্রাবার ব্যবহার করে তুমুল নিন্দার মুখে পড়েছে ধারাবাহিকের নির্মাতারা । তবে নিজের ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন ধারাবাহিকের প্রযোজক সুশান্ত দাস ।
শুটিংয়ের সময় অনেক কিছুই করতে হয় । সবটাই আসলে সাজানো । সে ভালোবাসার দৃশ্যই হোক কিংবা মারপিট, মৃত্যু কিংবা ঝগড়া । ধরুন, দৃশ্যে হয়তো কাউকে কফি খেতে দেখছেন । কিন্তু, সেই কফি মাগ আসলে খালি না ভরতি তা বোঝার উপায় নেই । সব ক্ষেত্রেই বাস্তবের ছোঁয়া রাখতে হয় । আর এই সবটাই করতে হয় খুবই সন্তর্পণে । কোনও ভুল হলেই ব্যস ! এই সোশাল মিডিয়ার যুগে মিম তৈরি করে ব্যঙ্গ করা কোনও নতুন বিষয় নয় ।
তেমনই ঠাট্টার শিকার হয়েছে 'কৃষ্ণকলি' ধারাবাহিক । হাসপাতালের দৃশ্য । বেডে শুয়ে রয়েছে রোগী । তার প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করছে চিকিৎসকরা । বুকে ডিফেব্রিলেটরের সাহায্যে ঝটকা দিয়ে বাঁচাতে হবে প্রাণ । সেখানে তো আর সত্যিকারের ডিফেব্রিলেটর ব্যবহার করা যাবে না । তাই মেঝে ঘষার স্ক্রাবার ব্যবহার করা হয় । ভুল একটাই, সবুজ রঙের স্ক্রাবারকে সিলভার রং করতে ভুলে গিয়েছিলেন তাঁরা ।
এদিকে মানুষের চোখকে ফাঁকি দেওয়া অত সহজও নয় । সঙ্গে সঙ্গে সেই দৃশ্যের স্ক্রিনশট হয়ে যায় ভাইরাল । বিষয়টি যে ভুলভাবে দেখানো হয়েছে তা শিকার করে নিয়েছেন 'কৃষ্ণকলি'-র প্রযোজক সুশান্ত দাস । এ প্রসঙ্গে তিনি ETV ভারতকে বলেন, "এটা আমাদের ভুল । নকল অপারেশন থিয়েটার তৈরি করতে হয়েছে সেটে । সেখানেই এই ছোট্ট ভুল হয়েছে । আমাদের রং করা উচিত ছিল । আমরা সংশোধন করে নিয়েছি সঙ্গে সঙ্গে । তবে একটা কথা বলতে চাই । আমাদের 'কৃষ্ণকলি'র টিম খুব এফিশিয়েন্ট । 1 থেকে 2 সেকেন্ডের জন্য দেখানো হয়েছে স্ক্রাবারটা । OTT-তে দেখে কেউ একটা ইচ্ছে করে ছড়িয়ে দিয়েছে । 'কৃষ্ণকলি'-র উপর ইন্ডাস্ট্রির কয়েকজনের খুব ঈর্ষা । যে কোনওভাবেই শোটাকে নামানোর চেষ্টা করছে । সবসময় খুঁত ধরার জন্য চেষ্টা করছে ।"
কয়েক মাস আগে 'কে আপন কে পর' ধারাবাহিকে জবার বোমা নিষ্ক্রিয় করার দৃশ্য নিয়েও খুব তোলপাড় হয় ।