ঋতুচক্র নিয়ে অনেকরকম নিষেধাজ্ঞা, ধারণা প্রচলিত আছে দেশে। নিত্যনৈমিত্তিক জীবনে বিদেশী ধ্য়ানধারণাকে আপন করে নিলেও ঋতুচক্র নিয়ে কিছু গোঁড়া ধ্য়ানধারণা এখনও আমাদের মনে বদ্ধমূল হয়ে আছে। সেই গোঁড়া ধ্য়ানধারণার বাইরে বেরিয়ে এসে নতুন পৃথিবীকে দেখায় এই ছবি। ঋতুচক্র যে খুব স্বাভাবিক একটি বিষয়, সেই বার্তাই রেখেছে এই ছবিটি।
ছবিটি প্রযোজনা করেছে গুনিতের প্রযোজনা সংস্থা শিখ্য়া এনটারটেইনমেন্ট। পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ইরানিয়ান-অ্যামেরিকান পরিচালক রায়কা জেতাবচি। ৯১তম অ্য়াকাডেমি অ্য়াওয়ার্ডসে ডকুমেন্টরি শর্ট সাবজেক্ট ক্য়াটাগরি বিভাগে পুরস্কারটি ছিনিয়ে নেয় 'পিরিয়ড. এন্ড অফ সেনটেন্স'।
এই প্রসঙ্গে গুনিত বলেন, "এই সন্মানের জন্য অনেক ধন্যবাদ। লস অ্য়াঞ্জেলসের ওকউড স্কুল থেকে শুরু করে উত্তরপ্রদেশের কাঠিকেরা অঞ্চলের কিশোরীদের প্রচেষ্টাকে চিহ্নিত করার জন্যও অনেক ধন্য়বাদ।"
প্রসঙ্গত, ২৬ মিনিটের এই ছবিতে উত্তর ভারতের হাপুরের কিছু কিশোরী ও মহিলাদের জীবনকে দেখানো হয়েছে। তাদের গ্রামে একটি প্য়াড মেশিন বসানোকে কেন্দ্র করে যে অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন তা ছবির মাধ্য়মে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, রিয়েল লাইফ প্য়াডম্য়ান অরুনাচলম মুরুগানাথনের কাজকেও এই ছবির মাধ্য়মে সামনে আনা হয়েছে।
গুনিতের বক্তব্য় অনুযায়ী, "এখনকার দিনে পিরিয়ড খুবই স্বাভাবিক ব্য়াপার। এই জিনিসটা কোনওভাবেই জীবনে কিছু হাসিল করার থেকে আমাদের বাধা দিতে পারে না। প্রায় ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে গৌরী চৌধুরীর সংস্থা অ্য়াকশন ইন্ডিয়া এই বিষয়ের উপর কাজ করে চলেছে। বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে, সেখানকার মহিলাদের এই বিষয়ের উপর শিক্ষা দেওয়া হয়েছে।"
মোঙ্গা মনে করেন, "দেশের প্রত্য়েকটি মহিলার এটা জানা উচিত যে পিরিয়ড একটা বাক্য়ের শেষ মাত্র, একটি মেয়ের শিক্ষার শেষ নয়। প্রত্য়েকটি মেয়েই দেবী। আমরা যেমন অস্কার জিতেছি, তেমনি পৃথিবীকে পরিবর্তন করার ক্ষমতাও রাখি।"