প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "সত্যিই শেষ পর্যন্ত মহালয়াকে আনতে পারলাম তার জন্য আনন্দিত ও গর্বিত। কারণ, এরকম একটা ঐতিহাসিক ঘটনা নিয়ে সিনেমা করা কঠিন। আমার বারবার মনে হয়েছে মহালায়া এমনই একটি নাম যেটা বাঙালির রক্তে মিশে গেছে। আমরা জানি যে এমারজেন্সি চলাকালীন ১৯৭৬ সালে মহালয়াকে নতুনভাবে আনার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেটা নিয়ে মানুষ এতদিন কেন সিনেমা করেনি সেটাই আমি জানতে আগ্রহী ছিলাম। আমার স্ক্রিপ্টটা শুনে খুব পছন্দ হয়েছিল, তাই আমি ছবিটা প্রযোজনার পাশাপাশি উপস্থাপনাও করছি।" প্রিমিয়ারে এসে শুভাশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, "আমি একই সঙ্গে উত্তেজিত ও খুব ভয়ে আছি। কারণ, এরকম একটা ছবি এরকম একটা বিষয়। আমি নিজে এমন একটি ছবির সঙ্গে জড়িত রয়েছি এটা ভাবতেই ভালো লাগছে।"
অকাল 'মহালয়া'-য় টলিউডের নক্ষত্র সমাবেশ
ইতিহাসটা সকলের জানা। ১৯৭৬ সালে মহালয়ার সকালে যে ঘটনাটি ঘটেছিল। সেই ঘটনা আজও মনে বিঁধে আছে বাঙালির। সেই ইতিহাসকেই পরদায় তুলে ধরলেন পরিচালক সৌমিক সেন। বাংলায় প্রথম ছবি তাঁর। বলতে হয়, সত্যি সময়ের আগে 'মহালয়া'টা দেখিয়ে দিলেন সৌমিক। আর প্রসেনজিৎ-যিশু ও শুভাশিস মুখোপাধ্যায়ের সেই ছবি দেখতেই হাজির ছিল টলিউডের তারকারা। 'মহালয়া'-র প্রিমিয়ারে এসেছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, কাঞ্চন মল্লিক, গৌতম ঘোষ, রুদ্রনীল ঘোষ, সোহম চক্রবর্তী, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, রাজনন্দিনী পাল, সৃজিত মুখার্জি, দেবজ্যোতি মিশ্র, হরনাথ চক্রবর্তী, শংকর চক্রবর্তী, অমৃতা চট্টোপাধ্যায়, রঞ্জন ঘোষ, শুভাশিস মুখোপাধ্যায়, সোহিনী সরকার, মৌবনী সরকার ও মুমতাজ সরকার সহ আরও অনেকে।
'মহালয়া'-য় টলিউডের নক্ষত্র সমাবেশ
ছবিতে একেবারে অন্যভাবে দেখা গেছে প্রসেনজিৎকে। খুব অল্প হলেও কাঞ্চন মল্লিকের চরিত্রটা গুরুত্বপূর্ণ। প্রিমিয়ারে এসে কাঞ্চন বলেন, "একদম ঐতিহাসিক একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাদের এই ছবি। আমার আজও মনে আছে ছোটোবেলায় সেই দিনটার কথা, মহালয়কে কেন্দ্র করে দেখা দিয়েছিল এক বিতর্ক। আর সেই একই বছরে দুবার মহালয় বাজানো হয়েছিল। এই ছবিটা করতে গিয়ে আমরা বুঝতে পেরেছি যে, আপামর বাঙালির কাছে মহিষাসুরমর্দিনী, বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের একটা আলাদা জায়গা রয়েছে।"