পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / sitara

ডাক্তার বললে প্রথমে দিদার কথা মনে হয় উষসীর - ushashi roy

আজ থেকে শুরু হয়েছে 'কাদম্বিনী'-র সম্প্রচার । দেশের প্রথম মহিলা ডাক্তারকে নিয়ে গল্প । মুখ্য চরিত্রে উষসী রায় । এর আগে জ়ি বাংলারই 'বকুলকথা' ধারাবাহিকের মুখ্যচরিত্রে ছিলেন । বর্তমান পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে তৈরি হয়েছিল ওই ধারাবাহিক । কিন্তু, তার থেকে একেবারে আলাদা 'কাদম্বিনী'। পুরোনো দিনের প্রেক্ষাপটকে তুলে ধরা হয়েছে এই ধারাবাহিকে । আর সেই চরিত্র নিয়েই ETV ভারতের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় উষসী ।

ে্ি
ে্ি

By

Published : Jul 6, 2020, 10:22 PM IST

ETV : আজ থেকে শুরু এই ধারাবাহিক.. 'বকুলকথা'র পর এখন 'কাদম্বিনী'...

উষসী : এই ধারাবাহিক নিয়ে আমি যথেষ্ট আশাবাদী । দেখা যাক কী হয় ।

.

ETV : উষসী, বকুল, কাদম্বিনী... তিনটে পরিচয় তৈরি হয়েছে এখন । এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আপনার কাছে কোন পরিচয় সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ?

উষসী : এটা একটা খুবই মজার প্রশ্ন । আসলে উষসীই তো কাদম্বিনী, আবার উষসীই বকুল । উষসীই সব সময় সব চরিত্রগুলো ছিল । বরাবরই আমার পরিচিতি উষসী নামেই । কিন্তু এখন যেহেতু কাদম্বিনী শুরু হয়েছে তাই আমিও এই চরিত্রর মধ্যে ঢুকে পড়েছি । তার সম্পর্কে জানছি । সে কারণে কাদম্বিনী এখন বেশি গুরুত্বপূর্ণ ।

.

ETV : 'কাদম্বিনী'-র জন্য নিজেকে কীভাবে তৈরি করলেন ?

উষসী : সেভাবে তৈরি করা যায় না । এই চরিত্রটির ক্ষেত্রে সবকিছু চিন্তাভাবনা করে করতে হচ্ছে । কাদম্বিনী খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা চরিত্র । যাঁরা আমাকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন, তাঁরা জানেন যে আমি একেবারেই কাদম্বিনী দেবীর মতো নই । তবে আমি প্রচুর বই পড়েছি । শুধু কাদম্বিনী দেবীর সম্পর্কে নয়, সেই সময়টা কেমন ছিল তা জেনেছি । জেনেছি কাদম্বিনীর মতো মেয়েরা কীরকম হত, তাঁদের মানসিকতা কেমন হত । সেইগুলো পড়ে অনেককিছু ভেবেছি । আমাদের ডিরেক্টরও বলেন, আমি নাকি সবসময়ই কিছু না কিছু ভেবে যাই । আমি এখানে একজনের কথা বলতে চাই । বেনিদি । তিনি আমার টিচার । অর্থাৎ, দামিনী বেনি বসু । তিনি আমাকে প্রচুর সাহায্য করেছেন, আমি বলে বোঝাতে পারব না । রীতিমতো ধাক্কা মেরে মেরে, পরীক্ষার আগে যেভাবে মা তার বাচ্চাকে পড়ায়, সেভাবেই আমাকে প্রচুর সাহায্য করেছেন ।

.

ETV : জীবনের এমন কোনও উল্লেখযোগ্য ডাক্তারের কথা বলতে চান ?

উষসী : ডাক্তারদের অবদান আছে বলেই আমরা হয়তো এখন এই পৃথিবীতে রয়েছি । ডাক্তারদের বিষয়টি আমার কাছে সবসময়ই খুব স্পর্শকাতর । আমার দিদা চেয়েছিলেন তাঁর নাতনি যেন ডাক্তার হয় । যেদিন আমি প্রথম 'কাদম্বিনী'-র চরিত্রটি পেয়েছিলাম, মা আমাকে বলেছিলেন, তুই তো এমনি ডাক্তার হলি না, এখন ডাক্তারের চরিত্র পেলি, তাও আবার যে সে ডাক্তার নয়, ভারতের প্রথম মহিলা ডাক্তার । সেই জন্য কাদম্বিনীর চরিত্রে অভিনয় করাটা আমার কাছে খুবই সেন্টিমেন্টাল একটা বিষয় । ডাক্তার বলতেই প্রথমে আমার দিদার কথা মনে হয় ।

.

For All Latest Updates

ABOUT THE AUTHOR

...view details