ETV : আজ থেকে শুরু এই ধারাবাহিক.. 'বকুলকথা'র পর এখন 'কাদম্বিনী'...
উষসী : এই ধারাবাহিক নিয়ে আমি যথেষ্ট আশাবাদী । দেখা যাক কী হয় ।
ETV : উষসী, বকুল, কাদম্বিনী... তিনটে পরিচয় তৈরি হয়েছে এখন । এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আপনার কাছে কোন পরিচয় সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ?
উষসী : এটা একটা খুবই মজার প্রশ্ন । আসলে উষসীই তো কাদম্বিনী, আবার উষসীই বকুল । উষসীই সব সময় সব চরিত্রগুলো ছিল । বরাবরই আমার পরিচিতি উষসী নামেই । কিন্তু এখন যেহেতু কাদম্বিনী শুরু হয়েছে তাই আমিও এই চরিত্রর মধ্যে ঢুকে পড়েছি । তার সম্পর্কে জানছি । সে কারণে কাদম্বিনী এখন বেশি গুরুত্বপূর্ণ ।
ETV : 'কাদম্বিনী'-র জন্য নিজেকে কীভাবে তৈরি করলেন ?
উষসী : সেভাবে তৈরি করা যায় না । এই চরিত্রটির ক্ষেত্রে সবকিছু চিন্তাভাবনা করে করতে হচ্ছে । কাদম্বিনী খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা চরিত্র । যাঁরা আমাকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন, তাঁরা জানেন যে আমি একেবারেই কাদম্বিনী দেবীর মতো নই । তবে আমি প্রচুর বই পড়েছি । শুধু কাদম্বিনী দেবীর সম্পর্কে নয়, সেই সময়টা কেমন ছিল তা জেনেছি । জেনেছি কাদম্বিনীর মতো মেয়েরা কীরকম হত, তাঁদের মানসিকতা কেমন হত । সেইগুলো পড়ে অনেককিছু ভেবেছি । আমাদের ডিরেক্টরও বলেন, আমি নাকি সবসময়ই কিছু না কিছু ভেবে যাই । আমি এখানে একজনের কথা বলতে চাই । বেনিদি । তিনি আমার টিচার । অর্থাৎ, দামিনী বেনি বসু । তিনি আমাকে প্রচুর সাহায্য করেছেন, আমি বলে বোঝাতে পারব না । রীতিমতো ধাক্কা মেরে মেরে, পরীক্ষার আগে যেভাবে মা তার বাচ্চাকে পড়ায়, সেভাবেই আমাকে প্রচুর সাহায্য করেছেন ।
ETV : জীবনের এমন কোনও উল্লেখযোগ্য ডাক্তারের কথা বলতে চান ?
উষসী : ডাক্তারদের অবদান আছে বলেই আমরা হয়তো এখন এই পৃথিবীতে রয়েছি । ডাক্তারদের বিষয়টি আমার কাছে সবসময়ই খুব স্পর্শকাতর । আমার দিদা চেয়েছিলেন তাঁর নাতনি যেন ডাক্তার হয় । যেদিন আমি প্রথম 'কাদম্বিনী'-র চরিত্রটি পেয়েছিলাম, মা আমাকে বলেছিলেন, তুই তো এমনি ডাক্তার হলি না, এখন ডাক্তারের চরিত্র পেলি, তাও আবার যে সে ডাক্তার নয়, ভারতের প্রথম মহিলা ডাক্তার । সেই জন্য কাদম্বিনীর চরিত্রে অভিনয় করাটা আমার কাছে খুবই সেন্টিমেন্টাল একটা বিষয় । ডাক্তার বলতেই প্রথমে আমার দিদার কথা মনে হয় ।