মুম্বই, 23 ফেব্রুয়ারি :বায়োপিকের ক্ষেত্রেও শৈল্পিক দিকটি বজায় রাখতে হলেও শিল্পীর স্বাধীনতা একান্ত প্রয়োজন ৷ কিন্তু এই কারণকে কেন্দ্র করে প্রায়শই তৈরি হয় বিতর্ক ৷ বিশেষত সঞ্জয়লীলা বনশালিকে আগেও একাধিকবার তাঁর ছবির জন্য় বিতর্কে জড়াতে হয়েছে ৷ 'বাজিরাও মস্তানি', 'পদ্মাবত'-এর ছবিগুলি নিয়ে যথেষ্ট শোরগোলের মধ্য়ে পড়তে হয়েছিল পরিচালককে ৷ ইতিমধ্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে তাঁর নতুন ছবি 'গাঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি' নিয়েও (Family of Gangubai has claimed it to be a defamation of her original character) ৷ গাঙ্গুবাঈয়ের পরিবারের দাবি, এই ছবিতে গাঙ্গুবাঈয়ের চরিত্রকে যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে তা খুবই অসম্মানজনক (Gangubai family On Bhansali) ৷
গাঙ্গুবাঈয়ের দত্তকপুত্র বাবুজি শাহ আগেই বলেছিলেন, "আমার মাকে যৌনকর্মীর ভূমিকায় দেখানো হয়েছে ৷ লোকজন এখন আমার মা সম্পর্কে নোংরা কথা তুলছে ৷" এবার সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে একই দাবি তুললেন গাঙ্গুকন্যা ববিতা এবং নাতি বিকাশ গৌড়োও ৷ বিকাশ বলেন, "আমাদের মান সম্মান এখন ঝুঁকির মুখে । ঠাকুমার চরিত্রকে এভাবে দেখানোর পরে আমরা কীভাবে মানুষের মুখোমুখি হব ? সিনেমাটিতে এমন অনেক কিছু রয়েছে যার সঙ্গে সত্যের কোন যোগ নেই । আমার ঠাকুমা কখনও অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করেননি, পান খাননি ৷ তাঁর কোনও ইমপালা গাড়িও ছিল না ৷ শুধু তাই নয়, তিনি কোনও নৃশংস মহিলা ছিলেন না যিনি মানুষের ক্ষতি বা হত্যা করবেন ৷ "
তিনি আরও যোগ করেন, "একমাত্র বিষয় যা ছবিতে সঠিকভাবে চিত্রিত করা হয়েছে তা হল করিম লালা তাঁর ভাইয়ের মতো ছিলেন এবং তাঁর সমস্ত লড়াইয়ে তাঁকে সমর্থন করেছিলেন ৷ যে লড়াইটা ঠাকুমা সাহসিকতার সঙ্গে লড়েছিলেন । তবে একইসঙ্গে আমি এটাও বলতে চাই যে তাঁর ওপর যৌন অত্যাচার হয়েছিল বলে তিনি তাঁর কাছে যাননি । বরং অন্যান্য় যৌনকর্মীদের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি লালার কাছে যান এবং সাহায্য করার প্রস্তাব দেন ।"