কলকাতা : এক বিশেষ ব্যক্তিকে 'দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন' উৎসর্গ করলেন ধ্রুব ব্যানার্জি। তিনি আর কেউ নন। বাংলা চলচ্চিত্র জগতের কিংবদন্তি পরিচালক তরুণ মজুমদার। যিনি বাংলা চলচ্চিত্র জগতের স্বর্ণযুগের অন্যতম কাণ্ডারী। ধ্রুব এই কথাই একান্তভাবে জানালেন ETV Bharat'কে।
এক বিশেষ ব্যক্তিকে 'দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন' উৎসর্গ করলেন ধ্রুব ব্যানার্জি
গেল বছরের কথা। ইতিহাসের অধ্যাপক সোনাদা, তুলনামূলক সাহিত্যের ছাত্রী ঝিনুক, এবং আবিরকে সঙ্গে নিয়ে নতুন ট্রেজার হান্টের গল্প সেলুলয়েডে বলা শুরু করেছিলেন পরিচালক ধ্রুব ব্যানার্জি। সোনাদা ইতিমধ্যেই ফ্রাঞ্চাইজি হতে চলেছে। সম্প্রতি মুক্তি পেতে চলেছে সোনাদার দ্বিতীয় ট্রেজার হান্টের ছবি 'দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন'। এই ছবিটি একজন বিশেষ ব্যক্তিকে উৎসর্গ করেছেন পরিচালক। তিনি কে?
তিনি বললেন, "আমি ২০ বছর বাংলা থেকে দূরে ছিলাম। মুম্বইতে কাজ করছিলাম অ্যানিমেশন এবং বিজ্ঞাপনে। এখানে ফিরে এসে 'গুপ্তধনের সন্ধানে' ছবিটি বানাই। বাংলার মধ্যে ছড়িয়ে রয়েছে অজস্র মণিমুক্তো, ঐতিহ্য এবং সংস্কার। আমার ছবি মূলত সেই বাঙালিয়ানাকে ধরে রাখা নিয়ে। এই গুপ্তধনের সন্ধান আসলে বাংলার ঐতিহ্যকে সন্ধান করে সযত্নে রাখা। আর এই কাজটা আমাদের চলচ্চিত্র জগতের কিছু পরিচালক খুব নিখুঁতভাবে করেছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম তরুণ মজুমদার। মানুষটাকে আমি খুব শ্রদ্ধা করি। তিনি আমার পিতৃতুল্য। এবছর তিনি চলচ্চিত্র জগতে ৬০ বছর পূর্ণ করবেন। এই ছবি আমি তাঁকে উৎসর্গ করতে চাই।"
'দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন' সোনাদা, ঝিনুক এবং আবিরকে নতুনভাবে ও আরও জমাটিভাবে দেখবে দর্শক। ছবিতে দুর্গা পূজো এবং একটি শঙ্খের বিশেষ গুরুত্ব আছে। প্রথম ছবিটির মতো এই ছবিতেও সোনার চরিত্রে আবীর চট্টোপাধ্যায়, ঝিনুকের চরিত্রে ইশা এবং আবিরের চরিত্রে অর্জুন চক্রবর্তীকে দেখবে দর্শক। ২৪ মে পশ্চিমবঙ্গে এবং ভারতের বিভিন্ন শহরে মুক্তি পাচ্ছে ছবি।