মুম্বই : সেনায় মহিলা অফিসারদের নেতৃত্ব মেনে নিতে এখনও মানসিকভাবে প্রস্তুত নয় পুরুষ জওয়ানরা ৷ এছাড়া অফিসারদের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হয় ৷ যাতে শারীরিক অবস্থা চূড়ান্ত থাকা প্রয়োজন ৷ শারীরিক গঠনের জন্য কোনও ইউনিটকে নেতৃত্ব দেওয়া মহিলাদের কাছে চ্যালেঞ্জের ৷ সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে গতকাল একথা জানায় কেন্দ্রীয় সরকার । বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সোশাল মিডিয়ায় নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন শ্রদ্ধা কাপুর ও তাপসী পান্নুর মতো অভিনেত্রীরা ।
কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে টুইটারে তাপসী লেখেন, "আমরা তাকে পুজো করতে পারি...ভালোবাসতে পারি...তার উপর অত্যাচার করতে পারি...কিন্তু, তার নির্দেশ মানতে পারি না...লিঙ্গ সাম্যর বিষয়টা একটা উপহাস মাত্র৷"
আর শ্রদ্ধা কাপুর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে লেখেন, "কোনও মহিলার ভূমিকা কী হওয়া উচিত সেটা কোনও একজন কেন ঠিক করবে ?"
ফোটো সৌজন্য : ইনস্টাগ্রাম
কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবীদের যুক্তি খারিজ করে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি অজয় রাস্তোগি বলেন, যদি সরকারের মানসিকতার পরিবর্তন হয়, তাহলেই সেনাবাহিনীতে নেতৃত্ব দিতে পারবেন মহিলারা । আর যদি সরকারের মানসিকতার পরিবর্তন হয় তাহলে শুধুমাত্র কমান্ডিং অফিসারই নয়, সেনাবাহিনীর অন্য পদেও মহিলাদের নিয়োগ করা সম্ভব হবে ।
সলিসিটর জেনেরাল তুষার মেহতা আদালতে বলেন, পুরুষদের থেকে বেশি দক্ষ মহিলারা । আর মহিলাদের নির্দেশ পুরুষরা মানতে পারবেন না এই যুক্তি একেবারেই ভিত্তিহীন ।
গতকাল এ নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন পরিচালক সুজিত সরকার । টুইট করে তিনি লেখেন "স্থল, নৌ, বায়ুসেনা বাহিনীর সব পুরুষদের সম্মান জানিয়ে বলছি...যদি আপনারা মহিলাদের সমান মনে করেন তাহলে নেতৃত্ব দিতে দিয়ে তাঁদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করুন । কোনও ব্যাটেলিয়ন বা ইউনিটকে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্য তাঁরাও । আর তাঁদের সেই অধিকারও রয়েছে ।"