মাদকচক্রের সক্রিয় সদস্য রিয়া ও সৌভিক, বম্বে হাইকোর্টে বলল NCB

গতকাল রিয়া ও সৌভিকের আবেদনের বিরোধিতা করে হাইকোর্টে হলফনামা পেশ করে NCB । সেই হলফনামায় দাবি করা হয়, "মাদক সেবন, পাচার ও সরবরাহের জন্য অর্থ প্রদান এবং সুশান্তের জন্য মাদকের জোগান দিতেন রিয়া ও সৌভিক । মাদক চক্রের সক্রিয় সদস্য তাঁরা । সমাজের উচ্চস্তরের ব্যক্তি এবং মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তাঁদের ।"

মুম্বই : জামিনের জন্য বম্বে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর ভাই সৌভিক । যদিও সেই আবেদনের বিরোধিতা করে গতকাল হাইকোর্টে হলফনামা পেশ করে নারকোটিকস কন্ট্রোল বিওরো (NCB)। হলফনামায় তাদের দাবি, মাদক চক্রের সক্রিয় সদস্য রিয়া ও সৌভিক । মাদক পাচার ও সরবরাহের সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন তাঁরা । এদিকে আজ রিয়া ও সৌভিকের জামিনের আবেদন শুনবে বম্বে হাইকোর্ট ।

সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুতে মাদক যোগের ইঙ্গিত পায় NCB। এরপর তদন্তে নেমে মাদক যোগের অভিযোগে 4 সেপ্টেম্বর সৌভিক ও সুশান্তের সহকারী স্যামুয়েল মিরান্ডাকে গ্রেপ্তার করে । 5 সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করা হয় সুশান্তের পরিচারক দীপেশ সাওয়ান্তকে । এর মধ্যে NCB-র জালে ধরা পড়ে একাধিক মাদক পাচারকারীও । টানা তিনদিন জিজ্ঞাসাবাদের পর 8 সেপ্টেম্বর মাদক যোগের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় রিয়াকে । যদিও মাদক যোগের কথা অস্বীকার করেন রিয়া । বরং জিজ্ঞাসাবাদের সময় জোর করে তাঁকে মাদক যোগের কথা স্বীকার করতে বলা হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি । আর সেই দাবি জানিয়ে জামিনের জন্য সেশন কোর্টে আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী সতীশ মানশিন্দে । যদিও সেই জামিনের আবেদন খারিজ করে রিয়াকে 14দিন বিচারবিভাগীয় হেপাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত । এরপর বিশেষ আদালতও তাঁদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল ।

এদিকে 22 সেপ্টেম্বর শেষ হয় রিয়া সহ বাকি অভিযুক্তদের বিচারবিভাগীয় হেপাজতের মেয়াদ । ওইদিন তাঁদের ফের আদালতে পেশ করা হয় । তখনই তাঁদের 6 অক্টোবর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেপাজতে থাকার নির্দেশ দেয় আদালত । তারই মধ্যে বম্বে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানান তাঁরা । এরপর 23 সেপ্টেম্বর সেই আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও মুম্বইয়ের বৃষ্টির জন্য ছুটি ঘোষণা করা হয় । যার জেরে পিছিয়ে যায় মামলার শুনানির দিন । এরপর আজ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয় ।

তারই মধ্যে গতকাল রিয়া ও সৌভিকের আবেদনের বিরোধিতা করে হাইকোর্টে হলফনামা পেশ করে NCB । সেই হলফনামায় দাবি করা হয়, "মাদক সেবন, পাচার ও সরবরাহের জন্য অর্থ প্রদান এবং সুশান্তের জন্য মাদকের জোগান দিতেন রিয়া ও সৌভিক । মাদক চক্রের সক্রিয় সদস্য তাঁরা । সমাজের উচ্চস্তরের ব্যক্তি এবং মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তাঁদের ।"

এ প্রসঙ্গে রিয়ার আইনজীবীর তরফে দাবি করা হয়, NDPS-এর অধীনে দায়ের করা এই মামলা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে CBI-এর হাতে স্থানান্তরিত হওয়া উচিত । এই মামলায় NCB-র কোনও এক্তিয়ার নেই ।