1984 সালের 31 অগাস্ট জন্ম রাজকুমার যাদবের। নিউমেরোলজির প্রতি বিশ্বাস ছিল তাঁর মায়ের। সম্ভবত সেই কারণেই নামের এই পরিবর্তন। যাদব থেকে রাও।
2009 সালে পুনের FTII থেকে গ্র্যাজুয়েট হওয়ার পর রাজকুমার এক বছর ধরে বিভিন্ন স্টুডিয়োতে ঘোরেন ও কাস্টিং ডিরেক্টরদের সঙ্গে দেখা করেন। আর 2010 সালে বলিউডে রাজকুমারের প্রথম ব্রেক, দিবাকর ব্যানার্জির 'লভ সেক্স ঔর ধোকা'। নেই হিরোসুলভ চেহারা। নেই কোনও গডফাদার। তাও তাঁকে বলিউডের প্রথম সারির অভিনেতা হিসেবে গণ্য করা হয়। কারণ একটাই, অভিনয়টা তিনি বোঝেন। তাঁর জন্মই যেন অভিনেতা হওয়ার জন্য।
'স্ত্রী' রাজকুমারের জীবনে এক নতুন অধ্যায় তৈরি করে নিজের USP তিনি নিজেই তৈরি করেছেন। অনুপ্রাণিত হয়েছেন শাহরুখ খানের থেকে। এক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে তিনি কিং খান প্রসঙ্গে বলেছিলেন, "যদি ইন্ডাস্ট্রির বাইরের লোক হয়ে কেউ এতটা বিশাল মাপের কাজ করতে পারেন, তাহলে হয়তো আমার জন্যও আশা রয়েছে।" সেই আশা পূরণ হয়েছে বলাইবাহুল্য।
রাজকুমারের শেষ ছবি 'জাজমেন্টাল হ্যায় কেয়া' বেশ প্রশংসিত হয় সমালোচকদের কাছে রাজকুমারের ক্যারিয়ারগ্রাফে 2013 সালটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হনসল মেহতার 'শহিদ' ছবিটা তাঁকে জাতীয় পুরস্কার এনে দেয়। এরপর থেকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি অভিনেতাকে। আপাতত বলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেতা রাজকুমার। 'লার্জার দ্যান লাইফ' বা 'মাচোম্যান' না হয়েও রাজকুমার আমাদের সবার প্রিয় এক অভিনেতা, একজন সাধারণ মানুষ যাঁকে ছুঁতে পারে, নিজের সঙ্গে রিলেট করতে পারে।
ETV ভারত সিতারার পক্ষ থেকে জন্মদিনে অনেক শুভেচ্ছা রাজকুমারকে। এভাবেই তিনি আমাদের আনন্দ দিয়ে যান।