মুম্বই : আবার একবার সামনে এল কঙ্গনার বক্তব্য । গতকাল একটি সাংবাদিক বৈঠকে কঙ্গনা জানান, গত সপ্তাহে এক সাংবাদিকের সঙ্গে তিনি বিবাদে জড়িয়েছিলেন । কারণ, সাংবাদিকদের এক গোষ্ঠীর থেকে তিনি বিরক্ত হয়ে গেছেন ।
সাংবাদিকদের প্রতি তাঁর বিরক্তির কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি জানান, বলিউডের অনেক অভিনেতার বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য মিডিয়া তাঁকে টার্গেট করে ।
অভিনেত্রী IANS-কে বলেন, "যদি আপনারা সম্প্রতি মিডিয়া ঘটনার কথা বলেন, তাহলে সত্যি বলতে, আমি নোট করেছি, আমি যবে থেকে বলিউডের কয়েকজন দিগ্গজের বিরুদ্ধ নিজের মতামত জানানো শুরু করেছি। সেটা হৃতিক রোশন, করণ জোহর বা অন্য কেউ হোক । মুম্বই মিডিয়া আমার বিরুদ্ধে হয়ে গেছে ।"
তিনি আরও বলেন, "বিগত দু-তিন বছর ধরে প্রতিদিন অনেক বাজে বাজে খবর আসে । আমি এসব থেকে বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলাম । যা হয়েছে, তা শুধু এর প্রতিক্রিয়া ছিল । কারণ আমার বিরুদ্ধে সবরকমের অপবাদ দেওয়া হয়েছে । মিডিয়াতে আমার অনেক ভালো বন্ধু রয়েছে । অনেকে আমাকে ভালো বুদ্ধিও দেয় ।"
2017 সালে করণ জোহরের সঙ্গে ঝামেলার শুরু কঙ্গনার । 'কফি উইথ করণ' শো-তে করণকে 'অসহিষ্ণু' বলেছিলেন কঙ্গনা । অন্যদিকে, হৃতিক তাঁর "এক্স-বয়ফ্রেন্ড" বলায় কঙ্গনার সঙ্গে হৃতিকেরও ঝামেলা বাধে ।
মিডিয়ার বেশিরভাগ সাংবাদিক কঙ্গনাকে বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিলেও কঙ্গনা এখনও ক্ষমা চাইতে রাজি নন । উলটে নিজের টেম্পার হারানোর জন্য মিডিয়াকেই দোষ দিচ্ছেন বলিউড কুইন ।
সমালোচনার কথা বলতে গিয়ে কঙ্গনা বলেন, "সমালোচনা, বুলি করা, ট্রোল করা আলাদা জিনিস । ক্রিটিসিজ়মের হিন্দি মানে সমীক্ষা । যদি আপনি জাজমেন্টাল হ্যায় কেয়ার মতো ছবিকে বিশ্লেষণ করতে চান, সেটা একপ্রকার সম্ভব । কিন্তু আপনি যদি ভগৎ সিং, রং দে বসন্তি, মণিকর্ণিকার মতো ছবিকে বিশ্লেষণ করতে যান, তাহলে আপনাকে অন্য পদ্ধতি নিতে হবে । আপনি ববি (জাজমেন্টাল হ্যায় কেয়া ছবিতে কঙ্গনার চরিত্র) ও লক্ষ্মীবাঈকে বিশ্লেষণ করতে পারেন না । কিছু কঠোর নিয়ম আছে ।"
কঙ্গনা জানান, মানুষ তাঁর নাম নিয়ে মজা করলে তিনি কিছু মনে করবেন না । কিন্তু একজন শহিদের নাম নিয়ে কখনই মজা করা উচিত নয় ।
তিনি বলেন, "এটা কষ্টকর । আমি সংবেদনশীল হয়ে গিয়েছিলাম কারণ আমি তাঁর জীবন নিয়ে পড়াশোনা করেছিলাম । তবে আমি যদি রানি লক্ষ্মীবাঈয়ের চরিত্রে অভিনয় না করতাম, তাও আমি এসব শুনলে কষ্ট পেতাম ।"