মুম্বই : কোরোনায় আক্রান্ত অমিতাভ বচ্চন । 11 জুলাই তাঁকে ভরতি করা হয় মুম্বইয়ে নানাবতী হাসপাতালে । এখনও সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি । আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা রয়েছেন । তবে হাসপাতালে থাকলেও বেশিরভাগ সময়ই ডুবে থাকছেন মুঠোফোনের মধ্যে । সোশাল মিডিয়াতেও যথেষ্ট সক্রিয় । প্রায় প্রতিদিনই কোনও না কোনও পোস্ট করতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে । হাসপাতালের মধ্যে এই দু'সপ্তাহ কীভাবে সময় কাটাচ্ছেন তা সাম্প্রতিক ব্লগে তুলে ধরেন বিগ বি ।
তিনি লেখেন, "রাতের অন্ধকারে, ঠান্ডা ঘরে আমি গান গাই...ঘুমানোর চেষ্টায় চোখ বন্ধ করি...আশপাশে কেউ নেই...সেই স্বাধীনতাতেই হয়তো আমি এই কাজটা করতে পারি..."।
যদিও এই দু'সপ্তাহে হাসপাতালের মধ্যে কোনও মানুষের মুখ দেখতে পাননি অমিতাভ । আর সেটা যে একজন রোগীকে মানসিকভাবে কতটা বিপর্যস্ত করে তুলতে পারে তাও ব্লগে জানান অভিনেতা ।
লেখেন, "কোরোনায় আক্রান্ত হলে কয়েক সপ্তাহ আইনসোলেশনে থাকা খুবই প্রয়োজনীয় । কিন্তু, এই সময় কোনও মানুষের মুখ দেখতে পাওয়া যায় না...নার্স ও চিকিৎসকরা নিয়ম করে আসেন...কিন্তু, PPE পরে...তাই আপনি বুঝতে পারবেন না যে তাঁরা কারা, তাঁদের মুখভঙ্গিটাই বা কেমন । কারণ সুরক্ষার জন্য তাঁরা সব সময় নিজেদের ঢেকে রাখেন...তাঁদের রোবট বলেই মনে হয়...প্রেসক্রিপশন দিয়েই তাঁরা চলে যান...দ্রুত চলে যান কারণ বেশিক্ষণ থাকলে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায় । কোনও মানুষের মুখ দেখতে না পেয়ে খুবই কষ্ট হয় ।"
এদিকে কোরোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরার পরও মানসিক দিক থেকে পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন রোগীরা । তার কারণও ব্লগে উল্লেখ করেন অমিতাভ । লেখেন, "হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার পরই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে অনেকটা সময় লাগে রোগীদের । কারণ কোরোনা আক্রান্তদের সমাজ একটু অন্য চোখেই দেখে । তাই কারও সঙ্গে দেখা করতেও ভয় পান তাঁরা । এই পরিস্থিতি মানুষকে আরও একা করে দিচ্ছে । যা হতাশার জন্ম দিচ্ছে । "
কোরোনাভাইরাস সম্পর্কে অমিতাভ আরও লেখেন, "গোটা বিশ্ব এখনও এই রোগের মোকাবিলার জন্য কোনও সঠিক পদ্ধতি খুঁজে বার করতে পারেনি...প্রতিদিন কোনও না কোনও নতুন উপসর্গ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে আর তা নিয়ে গবেষণা হচ্ছে...এর আগে চিকিৎসা বিজ্ঞান হয়তো কখনও এতটা পঙ্গু হয়নি...একটা, দুটো অঞ্চল নয়...গোটা বিশ্বে...ট্রায়াল চলছে…।
11 জুলাই রাতের দিকে টুইট করে নিজের কোরোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর জানান অমিতাভ । এর কিছুক্ষণ পর আরও একটি টুইটে অভিষেকও নিজের কোরোনা আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান । ওইদিন কোরোনা পরীক্ষা করা হয় পরিবারের অন্য সদস্যদেরও । পরদিন রিপোর্ট আসলে জানা যায় কোরোনায় আক্রান্ত আরাধ্যা ও ঐশ্বরিয়া রাইও । বাকিদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে বলে জানা গিয়েছে ।