তেল আভিভ, 8 নভেম্বর:হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধের আজ 33তম দিন ৷ গাজার অবস্থা দিনে দিনে আরও খারাপ হচ্ছে ৷ এখন পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে জখমদের চিকিৎসাতেও অ্যানাস্থেশিয়া ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না ৷ বিনা অ্যানাস্থেশিয়ায় শিশুদের অস্ত্রোপচার করতে হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন খোদ চিকিৎসকরাই ৷ রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব গতকালই বলেছেন, "শিশুদের কবরে পরিণত হয়েছে গাজা ৷"
আমেরিকার একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইজরায়েলের লাগাতার আক্রমণে গাজায় প্রাণের আশা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসছে ৷ গাজায় হাসপাতালগুলিতে কোনও রকমে চিকিৎসা হচ্ছে ৷ বিদ্যুৎথেকে শুরু করে ওষুধের সরবরাহ পর্যাপ্ত নয় ৷ একসঙ্গে একাধিক রোগীর ভেন্টিলেটর প্রয়োজন হয়ে পড়ছে। বহু ভাবনা-চিন্তা করে তবে একজনকে ভেন্টিলটরের সুবিধে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে ৷ শিশুদের পরিস্থিতি অত্যন্ত শোচনীয় ৷ কারও অঙ্গহানি হলে বা মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করতে হলেও অ্যানাস্থেশিয়া ছাড়াই তা করতে হচ্ছে ৷ ক্ষতস্থান পরিষ্কারের জন্য মিলছে না পরিস্রুত জলটুকু ৷ আর এই সব বীভৎস ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সোশাল মিডিয়ায় ৷
অনেক চিকিৎসকরা এই অবস্থায় স্তম্ভিত ৷ এরকমটা আগে কখনও দেখেননি তাঁরা ৷ মধ্য গাজার আল আক্সা হাসপাতালের চিকিৎসক বাসেম আল নাজ্জার বলেন, "আমাদের চিকিৎসক দলটি শারীরিক ও মানসিক- দুই দিক দিয়েই ক্লান্ত ৷ কোনও কোনও চিকিৎসককে একটা গোটা সপ্তাহ হাসপাতালেই থাকতে হচ্ছে ৷ তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও হয়তো আহত হয়েছেন বা তাঁদের মৃত্যু হয়েছে ৷ তাঁদেরও হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে ৷ আবার কয়েকজন চিকিৎসক বাড়ি ফিরেছেন এবং সেখানেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে ৷" তিনি আরও জানান, হাসপাতালের তিন জন কর্মী বাড়ি গিয়েছিলেন ৷ সেখানেই ইজরায়েলের ছোড়া বোমায় তাঁদের মৃত্যু হয়েছে ৷