ওয়াশিংটন ও তেল আভিভ, 7 নভেম্বর:অল্প সময়ের ছোট ছোট বিরতিতে সম্মতি জানাল ইজরায়েল সরকার ৷ তবে তা ঠিক যুদ্ধ-বিরতি নয়, জানালেন দেশের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ৷ মানবিক কারণে গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হোক ৷ এই দাবিতে গত এক সপ্তাহ ধরে আমেরিকার রাস্তায় নেমেছে বহু বহু মানুষ ৷ চাপের মুখে বাইডেন প্রশাসনও যুদ্ধবিরতি চাইছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল ৷
ইজরায়েল ও গাজার মধ্যে যে যুদ্ধ বেধেছে, তা যেন আঞ্চলিক স্তরে আরও বড় আকার না নেয়, এই মুহূর্তে আমেরিকার লক্ষ্য এটাই ৷ পাশাপাশি যুদ্ধের বলি আমজনতার যন্ত্রণা কমানোর জন্য চাপ দেওয়া ৷ এমন পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে সরাসরি আবেদন করেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হোক ৷ ত্রাণসামগ্রী পৌঁছক ৷ এরপরেই নেতানিয়াহু ক্ষণিকের জন্য যুদ্ধ থামানোয় রাজি হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে ৷ আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, "আমরা সাময়িক এবং ছোট ছোট অঞ্চলগুলিতে যুদ্ধবিরতির সমর্থনে কথা বলছি ৷"
এদিকে নেতানিয়াহু একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে বলেন, "আমাদের বন্দিদের না-ছাড়া পর্যন্ত কোনও যুদ্ধবিরতি হবে না ৷" এই প্রসঙ্গে বাইডেনের মানবিক যুদ্ধ-বিরতির প্রসঙ্গ উঠে আসে ৷ তখন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, "এক ঘণ্টার জন্য ছোট্ট বিরতির কথা ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে ৷ আমরা পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেখব ৷ আমাদের বন্দিদের যেতে দিতে হবে ৷ তবে আমার মনে হয়, কোনও সাধারণ যুদ্ধ-বিরতি হবে না ৷"
7 অক্টোবর ইজরায়েলের উপর অতর্কিতে হামলা চালায় হামাস ৷ এরপরই যুদ্ধ ঘোষণা করেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ৷ গাজায় পালটা আক্রমণ চালায় ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ ৷ এক মাস হতে চলল, সেই যুদ্ধ এখনও চলছে ৷ হামাসকে নিকেশ করতে গিয়ে ইজরায়েল যে প্রতিআক্রমণ চালিয়েছে, তাতে প্রায় 5 হাজার শিশু প্রাণ হারিয়েছে ৷ হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, সব মিলিয়ে গাজায় মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে 10 হাজারে ৷ যুদ্ধের প্রথম থেকেই ইজরায়েলের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৷
আরও পড়ুন: গাজার শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা, সাময়িক যুদ্ধবিরতির ডাককে প্রত্যাখান নেতানিয়াহুর