ব়্যামস্টিন (জার্মানি), 9 সেপ্টেম্বর : আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন ও স্বীকৃতি পেতে গেলে তালিবানকে (Taliban) ‘‘তা অর্জন করতে হবে’’ ৷ এমনটাই মত মার্কিন বিদেশ সচিব অ্য়ান্টনি ব্লিনকেনের (Antony Blinken) ৷ গত মঙ্গলবার আফগানিস্তানে (Afghanistan) নয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করেছে তালিবান ৷ তাতে রয়েছেন জঙ্গি তালিকায় থাকা একাধিক ব্যক্তিও ৷ যা চিন্তা বাড়িয়েছে অন্য়ান্য দেশের ৷ এই প্রেক্ষাপটে মার্কিন বিদেশ সচিবের মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের ৷ বুধবার জার্মানির ব়্যামস্টিনে অবস্থিত মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে জার্মান বিদেশ সচিবের সঙ্গে দেখা করেন ব্লিনকেন ৷ উল্লেখ্য, তালিবানের অভ্যুত্থানের পর আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাবাহিনীর অপসারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে এই বিমান ঘাঁটি ৷ মূলত এখান থেকেই দেশের ফেরার বিমানে সওয়ার হন আমেরিকার সেনারা ৷
আরও পড়ুন :Taliban: মহিলাদের বিক্ষোভ কভার করায় আফগান সাংবাদিকদের নৃশংস মার তালিবানের
ব়্যামস্টিন বিমান ঘাঁটি থেকেই ওই দিন 22টি দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মার্কিন ও জার্মান বিদেশ সচিব ৷ বৈঠকে যোগ দেন ন্যাটো (NATO), ইউরোপীয় ইউনিয়ন (European Union) এবং রাষ্ট্রসংঘের (United Nations) প্রতিনিধিরাও ৷ বৈঠকে ব্লিনকেন বলেন, ‘‘আফগানিস্তানের নয়া সরকার কোনও নীতি মেনে হয়নি ৷ এবং সেখানে যাঁদের ঠাঁই দেওয়া হয়েছে, সেই সব ব্যক্তির অতীত যথেষ্ট উদ্বেগজনক ৷’’ নয়া আফগান সরকারের মাথায় যাঁদের বসানো হয়েছে, তাঁরা প্রায় সকলেই তালিবানের প্রথম সারির চরমপন্থী নেতা ৷ 1990 সাল থেকেই এই ধরনের চরম পন্থার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তাঁরা ৷ এবং গত 20 বছর ধরে এঁরাই আমেরিকার নেতৃত্বাধীন জোট শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে গিয়েছেন ৷ অর্থাৎ, আমেরিকা যে আফগানিস্তানে তালিবানের উত্থানে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন, ব্লিনকেনের কথা থেকেই তা স্পষ্ট ৷