মস্কো, 5 মার্চ : অবশেষে দশম দিনের মাথায় ইউক্রেনে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করল রাশিয়া (Russia declares temporary ceasefire in Ukraine) ৷ যদিও এই খবরে আশার আলো না-দেখাই ভাল ৷ কারণ মস্কোর এই ঘোষণা একেবারেই সাময়িক ৷ মানবিক করিডর তৈরি করে ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তের শহর মারিউপোল এবং পূর্বদিকে অবস্থিত ভলনোভাখা থেকে উদ্ধার করা হবে যুদ্ধে আটকে পড়া সাধারণ মানুষকে ৷ আর সে কারণেই শনিবার সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতির ঘোষণা এল ক্রেমলিন স্কোয়্যার থেকে ৷
শনিবার মস্কোর স্থানীয় সময় সকাল 9টা থেকে বলবৎ হয়েছে এই যুদ্ধবিরতি ৷ একে আংশিক যুদ্ধবিরতিও বলা হচ্ছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে ৷ রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চলাকালীন ইউক্রেনের এই দু'টি শহরে গোলাগুলি, বম্ব শেলিং ইত্যাদি বন্ধ রাখবে রুশ সেনা ৷ ইউক্রেনে রাশিয়ার এই যুদ্ধবিরতি যদিও পূর্ব পরিকল্পনা প্রসূত ৷
যুদ্ধের অষ্টম দিন অর্থাৎ, গত বৃহস্পতিবার যুদ্ধরত দু'দেশের দ্বিতীয় দফার শান্তি বৈঠকে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল (Russia-Ukraine agreed to organize humanitarian corridors) ৷ কোনও সমাধানসূত্র বা রফাসূত্রে পৌঁছতে না-পারলেও 'মানবিক করিডর' তৈরি করে বিধ্বস্ত সাধারণ মানুষদের উদ্ধারে সম্মত হয়েছিল দু'পক্ষ ৷ রুশ প্রেসিডেন্টের সহকারী ভলোদিমির মেদিনস্কি সেদিনের বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমে বলেন, "সেনা ইস্যু, আন্তর্জাতিক ইস্যু এবং মানবিক ইস্যু নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে ৷ এর মধ্যে তৃতীয় ইস্যুটি ভীষণ উল্লেখযোগ্য, কারণ সেটি আগামিদিনে দু'পক্ষের মধ্যে এই সংঘাতে রাশ টানতে কাজে আসতে পারে ৷ সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে এবং জায়গায় জায়গায় মানবিক করিডর বানিয়ে সাধারণ মানুষকে উদ্ধারের বিষয়টিতে দু'দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক তাদের স্বচ্ছ ধারণা পোষণ করেছে ৷" তারই পরিপ্রেক্ষিতে যুদ্ধের দশম দিনে এসে প্রথমবার সাময়িক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা রাশিয়ার ৷
আরও পড়ুন : রফাসূত্র না-বেরোলেও 'মানবিক করিডর' ইস্যুতে সম্মত রাশিয়া-ইউক্রেন
ইউক্রেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এক টুইটে লিখেছে, "মারিউপোল এবং ভলনোভাখায় মানবিক করিডর তৈরি করে উদ্ধার প্রক্রিয়ার কাজ শুরু হয়েছে ৷ দু'পক্ষ এই দু'টি জায়গায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷" তবে কিভ, চের্নিহিভের মত শহরগুলিতে এদিন সকালে রাশিয়া আকাশপথে হুঁশিয়ারি বার্তা জারি করেছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর ৷