ইসলামাবাদ, 13 সেপ্টেম্বর : সারাক্ষণ কাবুলেই ছিলেন ৷ প্রতিপক্ষের নাকের ডগায় ৷ কিন্তু তারা তাঁকে ভূতের মতো অদৃশ্য কেউ বলে গণ্য করেছে, জানালেন তালিবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ (Zabiullah Mujahid) ৷ গত মাসেই কাবুল দখলের পর মিডিয়ার সামনে আসেন তিনি ৷ এক দশকেরও বেশি সময় পর প্রথমবার সাংবাদিক সম্মেলনও করেন ৷ 43 বছরের মুজাহিদের জন্ম 1978 সাল নাগাদ, পাকসিয়া প্রদেশের গারদেজ় জেলায় ৷ তিনি এ-ও স্বীকার করেছেন যে তিনি উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের নওশেরার হাক্কানিয়া সেমিনারি (Haqqania seminary)-তে ইসলামি আইনশাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনা করেছেন, আন্তর্জাতিক স্তরে যার ডাকনাম 'তালিবান বিশ্ববিদ্যালয়' বা 'জিহাদ বিশ্ববিদ্যালয়' ৷
পাকিস্তানি সংবাদপত্র দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন (The Express Tribune)-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "ওরা (মার্কিন এবং আফগান সেনা) আমার উপস্থিতিকে পাত্তাই দেয়নি ৷ ভাবত আমি নেই ৷ আমাকে ধরার বহু চেষ্টা করেছে ওরা ৷ কিন্তু এতবার পালাতে সক্ষম হয়েছিলাম যে ওরা ভেবে নিয়েছিল যে 'জাবিহুল্লাহ' বলে বাস্তবে কেউ নেই ৷ তারপরও আফগানিস্তানে স্বাধীনভাবে চলাচল করেছি ৷ দীর্ঘদিন ধরে আমি কাবুলে থেকেছি ৷ সবার চোখের সামনেই ৷ যেখানেই তালিবান কিছু করেছে সেখানেই প্রথম সারিতে আমি থেকেছি ৷ এটা আমাদের প্রতিপক্ষকে বেশ ধন্দে ফেলেছিল ৷"
মুজাহিদের ছায়া-সত্ত্বার জন্য এই জল্পনাও তৈরি হয়েছিল যে তালিবানের মুখপাত্র কেউ একজন নয়, হতে পারে একাধিক জন ৷ মুজাহিদ বলেন, "আমি কিন্তু কখনওই আফগানিস্তান ছেড়ে যায়নি, যাওয়ার কথা ভাবিনি পর্যন্ত ৷ আমার সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য মার্কিন সেনা স্থানীয় লোকজনকে টাকা দিত ৷ আমার ধারণা, আমাকে খুঁজে বের করতে তার ভিত্তিতেই তারা অভিযান চালাত ৷"