ইসলামাবাদ, 18 জুলাই : আইন অনুযায়ী কুলভূষণ যাদব নিয়ে পদক্ষেপ করবে পাকিস্তান। আজ একথা জানালেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাশাপাশি কুলভূষণ যাদবকে মুক্তি দিতে নির্দেশ না দেওয়ায় আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতের প্রশংসা করেন তিনি।
টুইটে তিনি লেখেন, "কমান্ডার কুলভূষণ যাদবকে বেকসুর খালাস, মুক্তি ও ফেরত দিতে নির্দেশ না দেওয়ার ICJ-র সিদ্ধান্তের প্রশংসা করছি। কুলভূষণ পাকিস্তানের জনগণের বিরুদ্ধে অপরাধ করেছেন। আইন অনুযায়ী পাকিস্তান তাঁকে নিয়ে পদক্ষেপ করবে।"
গতকাল কুলভূষণ মামলায় আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে (ICJ) ঐতিহাসিক কূটনৈতিক জয় পায় ভারত । ICJ জানিয়ে দেয়, কুলভূষণ যাদবকে এখনই ফাঁসি দিতে পারবে না ইসলামাবাদ । পাকিস্তানের সামরিক আদালতের রায় পুনর্বিবেচনা করার জন্য ইমরান খান প্রশাসনকে নির্দেশ দেয় আদালত ।
বিতর্কটা শুরু হয়েছিল বছর তিনেক আগে । গুপ্তচরবৃত্তি চালানোর অভিযোগে কুলভূষণকে গ্রেপ্তার করেছিল পাকিস্তানের প্রশাসন । সালটা ছিল 2016 । এরপর 2017-র এপ্রিলে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেয় পাকিস্তানের সামরিক আদালত । যদিও প্রথম থেকেই কুলভূষণকে নিরপরাধ বলে দাবি করে আসছিল দিল্লি । তাদের দাবি ছিল, নৌবাহিনীর এই প্রাক্তন অফিসার ব্যবসায়িক কাজে গিয়েছিলেন ইরানে । সেখান থেকে অপহৃত হন কুলভূষণ । যদিও ভারতের বিদেশমন্ত্রকের কোনও যুক্তিই মানতে চায়নি ইসলামাবাদ । এমনকী, কুলভূষণকে কূটনৈতিক রক্ষাকবচ (কনসুলার অ্যাকসেস) প্রদানের ক্ষেত্রেও বাধা দিয়েছিল তারা ।
এরপরই শুরু হয় দিল্লির সঙ্গে ইসলামাবাদের কূটনৈতিক লড়াই । তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে কুলভূষণ যাদবকে নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয় । আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের অভিযোগ ছিল 49 বছর বয়সি এই প্রাক্তন নৌসেনা অফিসারের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না ভারতীয় হাইকমিশনের সদস্যদের। বিদেশমন্ত্রকের কার্যকর পদক্ষেপের ফলেই কুলভূষণ যাদবের মৃত্যুদণ্ডে স্থগিতাদেশ দেয় আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালত ।