কলকাতা, 28 অগস্ট: জিতু কমল নামটা বললেই বাঙালির মনে পড়ে যায় অনীক দত্তের 'অপরাজিত' ছবিটির কথা ৷ পর্দায় অপরাজিত রায় (সত্যজিৎ রায়ের জীবন থেকে অনুপ্রাণিত চরিত্রটিকে এই নামই দিয়েছিলেন পরিচালক) হিসাবে তিনি যেদিন প্রথম সামনে আসেনি সেদিনই বাঙালির কাছে তাঁর এক অন্য পরিচিতি গড়ে ওঠে ৷ ছবিতে তাঁর অভিনয় ব্যাপক নজর কেড়েছিল সিনেপ্রেমীদের ৷ পর্দার সত্যজিৎকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন কিংবদন্তি পরিচালক শ্য়াম বেনেগলও ৷ কিন্তু উত্থান-পতন সবটা নিয়েই এগিয়ে চলে জীবন ৷ জিতুর ব্যক্তিগত জীবনও তাই সাম্প্রতিক সময়ে সাক্ষী থেকেছে এমনই ঝড়ের ৷ তবে পর্দায় যিনি এক কিংবদন্তি পরিচালকের চরিত্রে অভিনয় করেন তাঁকে 'অপরাজিত' থাকতেই হয় ৷ এটাই নিয়ম ৷ জিতু কমলের জন্মদিনে আসুন ফিরে দেখি তাঁর ওঠাপড়ার কিছু অধ্যায় ৷
সোমবার আরও একটি বসন্ত পার করলেন প্রতিভাবান অভিনেতা জিতু কমল ৷ এক সময় ছোট পর্দায় নজর কাড়া অভিনেতা আজ বাঙালির রূপোলি পর্দার 'মানিকবাবু' ৷ একের পর এক ছবির অফার এসেই চলেছে ৷ 'অপরাজিত' তাঁকে যে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে দিয়েছিল তার ফল ফলেছে ৷ কিন্তু সাফল্য়কে ছুঁয়ে দেখার পরপরই তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে এসেছে ঝড়ের আঘাত ৷ স্ত্রী নবনীতা দাসের সঙ্গে বিচ্ছেদকে ঝড় ছাড়া আর কীই বা বলা যায় ৷
পর্দার 'সত্যজিৎ'কে সহ্য করতে হয়েছে নানা কুৎসা ৷ ছবির সহ-অভিনেত্রীর সঙ্গে নাকি সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি, এমন গুজবও শোনা গিয়েছে ৷ এমনকী শেষপর্যন্ত সেসব কুৎসা খণ্ডন করতে ফেসবুকে সরব হতে হয়েছে প্রাক্তন স্ত্রী নবনীতাকেই ৷ তিনি নিজেই জানিয়েছেন, জিতুকে নিয়ে যে ভুল রটনা চলছে তার সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল নেই ৷ জিতুর সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদের কারণ একেবারেই অন্য ৷