কলকাতা, 6 মার্চ: রং একটা নেশার মতো। মাখার আর মাখানোর সুযোগ পেলে মানুষ স্থান, কাল, পাত্র সবের ঊর্ধ্বে উঠে যায়। একইভাবে কুকুর, বিড়ালদের গায়েও রং দিতে ছাড়েন না-অনেকে। কখনও তাদের গায়ে রং দিয়ে দেওয়া হয়, কখনওবা গায়ে রং দিতে গেলে চোখে লেগে যায় তাদের। ওরা অবলা। তাই বলতে পারে না নিজেদের কষ্টের জায়গাটা। অথচ এই দোলের দিনে রং মাখামাখিতে ওদের কোনও আনন্দ নেই। বরং গায়ে রং লাগলে এক কোণে চুপ হয়ে বসে থাকতে দেখা যায় ওদের। তাই এই দোলের দিনে ওদের গায়ে যাতে রং না-লাগানো হয় তার জন্য আর্জি জানিয়েছেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সঙ্গীতশিল্পী ইমন চক্রবর্তী (Iman Chakraborty)।
ইমন সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে লিখেছেন, "ওদের রং খেলায় কোনও আনন্দ নেই ৷ দয়া করে কেউ ওদের রং দেবেন না..... ধন্যবাদ।" বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, একসঙ্গে একাধিক পথ কুকুরের উপর ঢেলে দেওয়া হয় বালতি ভরতি রং। সেই রং মাথা থেকে চুঁইয়ে এসে পড়ে তাদের চোখে। এতে তাদের চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শরীরের যেখানে রং লাগে, সেখানে অস্বস্তি শুরু হলে কুকুর সেই জায়গাটি চাটতে শুরু করে। কুকুরের মুখে সেই বিষাক্ত রং চলে যায়। কুকুরের গায়ে রংজল ভরতি বেলুন মারলেও তারা বিরক্ত হয়।