ভাঙড়া (পুরুলিয়া), 18 মার্চ :‘টিএমসি’ মানে কী বলুন তো ? মানে জানতে চাইছি টিএমসি-র ‘ফুল ফর্ম’ কী ? ভাবছেন তো, এ আবার কেমন প্রশ্ন হল মশাই ? টিএমসি মানে তো তৃণমূল কংগ্রেস ৷ তবে বলি শুনুন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী আর তাঁর দলের নেতা-মন্ত্রীদের ব্যাখ্য়ায় এই খাতা-কলমের ‘ফুল ফর্ম’ টেঁকে না ৷ তাঁদের ভাষায় টিএমসির-র অর্থ হল, ‘‘ট্রান্সফার মাই কমিশন’’ ৷ বৃহস্পতিবার স্বয়ং নরেন্দ্র মোদিও বলেছেন একথা ৷ পুরুলিয়ার জনসভা থেকে তাঁর তোপ, তৃণমূল মানেই তোলাবাজি, কাটমানি আর সিন্ডিকেটরাজ ৷ তৃণমূল জমানায় কোনও সরকারি প্রকল্পের রূপায়ণ মানেই শাসকদলের পকেটে ‘কমিশন ট্রান্সফার’ ৷ আর সেই কারণেই এমন সরকারের উৎপাটন অবশ্যম্ভাবী বলেই মত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৷
পাশাপাশি, এদিনের সভামঞ্চ থেকে টিএমসি-র মোকাবিলায় পাল্টা দাওয়াইও দিয়েছেন মোদি ৷ মোদির সেই দাওয়াই হল ‘ডিবিটি’ ৷ মানে ‘ডায়রেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার’ ৷ উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্য়াকউন্টে আর্থিক সুবিধার সরাসরি স্থানান্তর মোদি জমানার অন্যতম বৈশিষ্ট্য ৷ বরাবরই এর পক্ষে সওয়াল করেছে তারা ৷ কৃষককে অনুদান দেওয়া হোক, বা রান্নার গ্য়াসের ভর্তুকি পাঠানো, পুরোটাই অনলাইনে ‘ডায়রেক্ট মানি ট্রান্সফার’ প্রক্রিয়ায় সারে মোদির সরকার ৷
এই প্রসঙ্গে, সরকারের নিজস্ব যুক্তিও রয়েছে ৷ তাদের দাবি, কাউকে ভায়া করে আর্থিক অনুদান দিতে গেলে মাঝখানে অনেক অবৈধ মধ্যসত্ত্বভোগীরা খাড়া হয়ে যায় ৷ তারাই উপভোক্তার প্রাপ্য় অর্থ আত্মসাৎ করে ৷ কিন্তু উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পড়লে সেই ‘চুরি’তে অনেকটাই রাশ টানা যায় ৷