বংশীহারী, 11 মার্চ : ভোটের ডিউটি পেয়ে আতান্তরে রোগী ৷ ডিউটি থেকে বাদ যাননি সাতমাসের সন্তানের বাবা-মাও ৷ নির্বাচনী দায়ভার থেকে অব্যাহতি পেতে প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরেও লাভ হয়নি কোনও ৷ অগত্যা, কেউ অসুস্থ শরীরে, আবার কেউ সন্তান কোলে নিয়েই এসে হাজির হন ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণকেন্দ্রে ৷ এমনই ছবি ধরা পড়ল দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুর কলেজে ৷ এখানেই ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ৷
কোভিড আবহে বেড়েছে ভোটগ্রহণকেন্দ্রের সংখ্যা ৷ ফলে চাপ বাড়ছে ভোটকর্মীদেরও ৷ এমন আবহে বিপাকে পড়েছেন শ্য়ামলী কর্মকার, বীথি সরকার ও সৌরভ বিশ্বাসের মতো প্রাথমিক শিক্ষকরা ৷ ইটিভি ভারতের মুখোমুখি হয়ে নিজেদের সমস্য়ার কথা জানালেন তাঁরা ৷
প্রশাসনের দ্বারস্থ আতান্তরে পড়া ভোটকর্মীরা ৷ গাঙ্গুরিয়া এফপি স্কুলের শিক্ষিকা শ্যামলী কর্মকার। সম্প্রতি জানতে পারেন ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত তিনি ৷ চিকিৎসক পর্যবেক্ষণে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন ৷ অথচ এই পরিস্থিতিতেই তাঁকে ভোটকর্মীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৷ শ্য়ামলীর অভিযোগ, প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরে নিজের সমস্য়ার কথা জানানোর পরও লাভ হয়নি কোনও ৷ অসুস্থ অবস্থাতেই প্রশিক্ষণকেন্দ্রে আসেন তিনি ৷ পরে অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷ সেই সময়েই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন অতিরিক্ত জেলাশাসক নীতীন যাদব ৷ সব শুনে শ্য়ামলীকে সাহায্য় করার আশ্বাস দেন তিনি ৷
আরও পড়ুন :অপেক্ষায় ভোটকর্মীরা, নির্বিঘ্নে টিকা নিলেন দুই বিধায়ক ও পৌরপ্রশাসক !
অন্যদিকে রয়েছেন বীথি সরকার এবং তাঁর স্বামী সৌরভ বিশ্বাস ৷ দু’জনেই শিক্ষক ৷ ভোটের দায়িত্বও পেয়েছন দু’জনেই ৷ অথচ ঘরে তাঁদের সাতমাসের সন্তান ৷ ভোটের কাজে গেলে ছোট্ট শিশুকে সামলাবে কে ? সেই চিন্তাতেই ঘুম উড়েছে বীথি আর সৌরভের ৷ বীথি যখন প্রশিক্ষণ নিতে ভিতরে ঢোকেন, তখন ছেলে কোলে বাইরে দাঁড়িয়ে সৌরভ ৷ গোটা ঘটনা শোনার পর সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের প্রশ্ন, স্কুল খোলা থাকলে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে ডিউটি করতে কীভাবে ? জবাবে এই দম্পতি জানান, দিনে ছ’ঘণ্টা ডিউটির সঙ্গে ভোটের লাগাতার কয়েক দিনের ডিউটির ফারাক রয়েছে ৷ শেষমেশ বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক ৷