বড়জোড়া, 22 মার্চ : সোমবার মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বাঁকুড়া সফরের শেষ স্টপেজ ছিল বড়জোড়া ৷ দলীয় প্রার্থী অলোক মুখোপাধ্য়ায়ের সমর্থনে এখানেই দিনের শেষ নির্বাচনী জনসভাটি করেন তৃণমূল সুপ্রিমো ৷ ভোট প্রচারে এসে ডুবে যান অতীতে ৷ নিজের লড়াইয়ের কথা বলতে গিয়ে হয়ে পড়েন আবেগপ্রবণ ৷ নানা কথায় বুঝিয়ে দেন, তিনি কেবলমাত্র বাংলার প্রশাসনিক প্রধান নন, তিনি আদতেই বাংলার ঘরের মেয়ে, ‘নিজের মেয়ে’ ৷ সেই আবেগ উস্কে দিয়েই মা-বোনেদের কাছে দলীয় প্রার্থীদের হয়ে ভোটভিক্ষা করেন মমতা ৷ বার্তা দেন বিন্দুতে বিন্দুতে সিন্ধু গড়ে তোলার ৷
মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় সব সময়েই বলেন, রাজ্য়ের যেখানে যিনিই তৃণমূলের প্রার্থী হন না কেন, আদতে লড়াইটা তাঁরই ৷ তাই রাজ্যের মানুষ যদি তাঁকে আবার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে পেতে চান, কিংবা চান তৃণমূল কংগ্রেসই ফের সরকার গড়ুক, তাহলে গোটা রাজ্য়েই তৃণমূল প্রার্থীদেরই ভোট দিতে হবে ৷ মমতার বার্তা, একটা একটা ভোট জুড়েই গোটা সরকারের ভিত রচিত হয় ৷ ঠিক যেমন বিন্দুতে বিন্দুতে রচিত হয় সিন্ধু ৷
বড়জোড়ার সভামঞ্চেও ফের একবার নন্দীগ্রামের ঘটনা নিয়ে সরব হন মমতা ৷ তাঁর ইঙ্গিত, ওই দিন কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি ৷ তাঁকে ইচ্ছা করেই আহত করা হয়েছে ৷ তাঁর অভিযোগ, বাম জমানায় বারবার তাঁর উপর হামলা চালানো হয়েছে ৷ বহুবার মরতে মরতে বেঁচে গিয়েছেন তিনি ৷ সেই আঘাতের রেশ আজও তাঁকে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে ৷ এদিন আবেগঘন গলায় মমতা বলেন, ‘‘আমি জীবন্ত লাশ হয়ে বেঁচে আছি ৷ রাতের পর রাত ঘুম হয় না ৷’’