Black Fungus : উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে একদিনে ব্ল্যাক ফাংগাসে আক্রান্ত দুই রোগীর মৃত্যু

এখনও পর্যন্ত উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে 10 জন ব্ল্যাক ফাংগাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন । অবশ্য ইতিমধ্যে ব্ল্যাক ফাংগাস নিয়ে ওই হাসপাতালে দু’টি কমিটি গঠন করা হয়েছে ৷

শিলিগুড়ি, 19 জুন : ফের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইক্রোসিসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল ৷ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে একই রাতে মৃত্যু হল দু’জনের । এই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে শিলিগুড়ি শহরে ৷ কারণ, দু’জনেই স্থানীয় বাসিন্দা ৷ ফলে ওই এলাকায় আরও কেউ আক্রান্ত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি সংলগ্ন মাটিগাড়া নিউ রঙ্গিয়া এলাকার বাসিন্দা জিতেন্দ্র দেব সিংহ (33) ও ওই ব্লকেরই কাওয়াখালির বাসিন্দা জগদীশ মল্লিক ব্ল্যাক ফাংগাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ।

জানা গিয়েছে যে, জিতেন্দ্র দেব সিংহ 5 জুন করোনায় সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালের কোভিড ব্লকে ভর্তি হন । কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় তাঁকে কোভিড ব্লক থেকে অন্যত্র সরানো যায়নি ।

হাসতাপাতাল সূত্রে খবর, এরপরই তিনি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হন । তাঁর হাই ডায়াবেটিস ছিল । এরপর শুক্রবার মাঝরাতে তিনি মারা যান ৷ অন্যদিকে, জগদীশ মল্লিক 26 মে করোনায় সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি হন । হাই ডায়াবেটিসের সঙ্গে ফুসফুসেও সংক্রমণ হয় তাঁর । তিনিও শুক্রবার মাঝরাতে মারা যান ।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হতে সোমবার দু’জনেরই লালারস ও টিস্যু পরীক্ষার জন্য নমুনা ল্যাবরেটরিতে পাঠায় । দু’জনেরই রিপোর্ট মঙ্গলবার দিন পজিটিভ আসে । কিন্তু তাঁদের শারীরিক পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে কোভিড ব্লক থেকে সরিয়ে তাঁদের অস্ত্রোপচার করা যায়নি ।

উল্লেখ্য, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে মার্চের শেষ থেকে ক্রমশ সংক্রমণ বাড়তে থাকে দেশে ৷ এর মধ্যেই ব্ল্যাক ফাংগাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা একে একে সামনে আসতে থাকে ৷ দেখা গিয়েছে যে মূলত করোনা আক্রান্তদের মধ্যেই এই সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে ৷ অনেকেই ব্ল্যাক ফাংগাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ৷

শুধুমাত্র উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেই 10 জন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন । ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের প্রধানদের নিয়ে ব্ল্যাক ফাংগাসের সংক্রমণ নিয়ে রোগের গতিপ্রকৃতি ঠিক করতে কমিটি গঠন করা হয় । পাশাপাশি ব্ল্যাক ফাংগাস রোগের চিকিৎসার জন্য চারটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে একটি কোর কমিটি তৈরি করা হয় ।