শিলিগুড়ি, ২৮ জুন : কেন্দ্রীয় বাজেটে রাজ্যের চা-বাগানের মহিলা শ্রমিক এবং তাঁদের শিশুদের উন্নয়নের জন্য দেড় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ৷ অথচ এখনও পর্যন্ত রাজ্যকে সেই টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার । সোমবার শিলিগুড়ি স্টেট গেস্ট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) বেচারাম মান্না ।
উত্তরের রুগ্ন এবং বন্ধ চা-বাগানগুলিকে ছন্দে ফেরাতে বিভিন্ন চা-শ্রমিক সংগঠন এবং শ্রম দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বেচারাম মান্না । বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের তফশিলি ও অনগ্রসর শ্রেণির কল্যাণমন্ত্রী বুলুচিক বরাইক, দফতরের প্রধান সচিব বরুণকুমার রায়, শ্রম দফতরের কমিশনার জাভেদ আখতার, যুগ্ম লেবার কমিশনার মহম্মদ রিজওয়ান-সহ অন্যান্যরা ।
আরও পড়ুন :আসানসোল পৌরনিগমে নষ্ট হচ্ছে নির্মল বাংলার কয়েক কোটির গাড়ি
এদিন তৃণমূল এবং উত্তরবঙ্গের চা বাগানের শ্রমিক সংগঠনগুলোর যৌথমঞ্চের সঙ্গে বৈঠক করেন মন্ত্রী । ডানকান-সহ উত্তরবঙ্গে বন্ধ থাকা 13টি চা-বাগান কিভাবে দ্রুত খোলা সম্ভব হয়, সেই বিষয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে শ্রমিক সংগঠনগুলির । পাশাপাশি চা-বাগানের শ্রমিকদের হয়রানি কমাতে রাজ্যের প্রতিটি চা-বাগানে ইন্টারনেট পরিষেবা জোরালো করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে শ্রম দফতরের তরফে । চা-বাগানের শ্রমিকদের স্বার্থে অনলাইন ব্যাঙ্কিং পরিষেবা চালুর জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ।
ইতিমধ্যে শ্রম দফতরের হস্তক্ষেপে উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সের তোর্সা এবং বাগরাকোট চা-বাগান খুলে গিয়েছে । বাগরাকোট চা-বাগান প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে বন্ধ ছিল । শ্রম দফতর হস্তক্ষেপ করায় মঙ্গলবার থেকেই ওই চা-বাগান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালিকপক্ষ । এতে কর্মহীন হয়ে পড়া প্রায় দু’হাজার শ্রমিক ফের কাজ পাবেন ।
আরও পড়ুন :Cyclone Yaas : যশে সর্বস্ব হারিয়ে নদীবাঁধে আশ্রয়, সরকারি সাহায্যের আশায় বৃদ্ধ দম্পতি
এদিন বৈঠকের পর শ্রম প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) বেচারাম মান্না বলেন, "আমাদের মূল লক্ষ্য বন্ধ এবং রুগ্ন চা-বাগানগুলিকে স্বাভাবিক করে তোলা । কেন্দ্র সরকার চা-বাগানের উন্নয়নে দেড় হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রীয় বাজেটে পাস করলেও রাজ্য এখনও সেই টাকা পায়নি । যত দ্রুত সম্ভব সেই টাকা যাতে আমরা পাই, তার জন্য পদক্ষেপ করা হবে । দু’টি বন্ধ চা-বাগান খোলা গেলেও পরবর্তীতে কিলকট ও নাগেশ্বরী চা-বাগানের পাশাপাশি দার্জিলিংয়ের তাকভারের বন্ধ চা-বাগান খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । শ্রমিকদের হয়রানি কমাতেই প্রতিটি চা-বাগানে ইন্টারনেট পরিষেবা জোরালো করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ।"