শিলিগুড়ি, 16 জুন : মাসে তিনবার তামিলনাড়ু যেত । তবে অফিস টুর বা ডাক্তার দেখাতে নয় । হাতসাফাই করতে । ট্রেনের যাত্রীদের ব্যাগ থেকে চুরি করত সোনার গয়না । অনেকদিন ধরে বেশ ভালোই চলছিল কারবার । একাধিক যাত্রীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েও দুষ্কৃতীর হদিশ পাচ্ছিল না পুলিশ । কিন্তু হাল ছাড়েনি তদন্তকারীরা । আদাজল খেয়ে লেগে ছিল । আর তার ফলও মিলল । শুক্রবার শিলিগুড়ি থেকে পাকড়াও হল চোর । নাম কমল দাস ।
AC টু টায়ারে চেপে মাসে তিনবার "হাতসাফাই টুরে" তামিলনাড়ু যেত কমল
মাসে তিনবার তামিলনাড়ু যেত সে । যেত ট্রেনের AC টু টায়ারে । তারপর চলন্ত ট্রেনের কামরায় রাতের অন্ধকারে ঘুমন্ত মহিলা যাত্রীদের ব্যাগ থেকে চুরি করত সোনার গয়না ।
কমল শিলিগুড়ির বাসিন্দা । পুলিশ সূত্রে খবর, মাসে তিনবার তামিলনাড়ু যেত সে । যেত ট্রেনের AC টু টায়ারে । তারপর চলন্ত ট্রেনের কামরায় রাতের অন্ধকারে ঘুমন্ত মহিলা যাত্রীদের ব্যাগ থেকে চুরি করত সোনার গয়না । মাসকয়েক আগে একাধিক যাত্রী তামিলনাড়ু রেল পুলিশে সোনার গয়না চুরির অভিযোগ করেন । এরপর শুরু হয় তদন্ত । শুক্রবার তামিলনাড়ু পুলিশের 10 জনের একটি দল শিলিগুড়ি পৌঁছায় । রাতে অভিযান চালিয়ে তারা শিলিগুড়ি থেকে কমলকে গ্রেপ্তার করে । শনিবার শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তুলে কমলকে ট্রানজ়িট রিমান্ডে নেয় তামিলনাড়ু রেল পুলিশ ।
একাধিক অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নেমে তামিলনাড়ু রেল পুলিশ প্রতিটি ঘটনার দিন যে AC টু টায়ার কামরাগুলিতে চুরি হয়েছিল সেগুলির যাত্রী তালিকা খতিয়ে দেখে । তালিকা থেকে দেখা যায় প্রতিটি ঘটনার দিনই কমল দাস নামে এক ব্যক্তি সেই কামরাগুলিতে ছিল । পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে সে আদতে শিলিগুড়ির বাসিন্দা । যোগাযোগ করা হয় শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের সঙ্গে । এরপরই তদন্তে নেমে গ্রেপ্তার করা হয় কমলকে । তবে চোরাই মাল কোথায় আছে বা কেন সে চুরি করতে তামিলনাড়ুগামী ট্রেনগুলিকেই বেছে নিত তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।