মালদা, 22 অগাস্ট : জাতীয় পতাকার প্রতীক লাগানো কেক কেটে জন্মদিন পালন করলেন শাসকদলের নেত্রী ৷ গতকাল সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে গোটা জেলায় ৷ ছবিতে সেই কেক ভাগ করে খেতে দেখা গিয়েছে ব্লকের তাবড় তৃণমূল নেতানেত্রীদের ৷ ঘটনাটি রতুয়ার৷ গোটা ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে জেলাজুড়ে ৷ এই ঘটনা নিয়ে ওই নেত্রী কিংবা তাঁর সঙ্গীরা কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি ৷ তবে জেলা তৃণমূলের অন্যতম শীর্ষনেতা দুলাল সরকার এমন ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন৷ গোটা ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে BJP নেতৃত্ব৷
ঘটনাটি ঘটিয়েছেন জেলা তৃণমূলের অন্যতম নেত্রী শাহনাজ কাদেরি ৷ তিনি প্রয়াত গণি খান চৌধুরির ভাগ্নি এবং জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নূরের দিদিও ৷ গত বিধানসভা নির্বাচনে তিনি মোথাবাড়ি কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন৷ বর্তমানে তিনি রতুয়া বিধায়সভা কেন্দ্রে দলীয় সংগঠন দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছেন ৷ জানা যাচ্ছে, 19 অগাস্ট বিকেলে রতুয়া ব্লক তৃণমূলের উদ্যোগে তাঁর জন্মদিন পালন করা হয়৷ সেখানে তৃণমূলের রতুয়া ব্লক নেতৃত্ব উপস্থিত ছিল৷ ছিলেন সেখানকার দাপুটে নেতা শেখ ইয়াসিন, জয়হিন্দ বাহিনীর জেলা সভাপতি কৃষ্ণ দাস-সহ অনেকেই ৷ তখন দেখা যায়, ভারতের জাতীয় পতাকার আদলে তৈরি কেক কাটছেন শাহনাজ৷ সেই কেক খাচ্ছেন উপস্থিত সবাই৷ স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ উঠেছে৷ যদিও আজ এনিয়ে মুখ বন্ধ রেখেছেন শাহনাজ কাদেরি সহ সেখানে উপস্থিত থাকা সব নেতানেত্রী৷ তবে বিষয়টি যে অত্যন্ত গর্হিত কাজ, তা স্বীকার করে নিয়েছেন জেলা তৃণমূলের অন্যতম শীর্ষনেতা দুলাল সরকার৷ তিনি বলেন, “জাতীয় পতাকার আদলে কেক তৈরি করে সেই কেক কেটে জন্মদিন পালন করা কখনই উচিত হয়নি৷ যারা এই কাজ করেছে, তারা ভীষণ অন্যায় করেছে৷ এটা সমর্থনযোগ্য নয়৷ তবে দেখতে হবে, এই ছবি সঠিক কিনা৷ কারণ, এমন অনেক ছবি সাংবাদিকরাও তৈরি করে৷” দুলালবাবুকে প্রশ্ন করা হয়, শুধু শাহনাজ নয়, ওই অনুষ্ঠানে তৃণমূলের অনেক নেতাকেও দেখা গিয়েছে৷ দুলালবাবুর উত্তর, “ কে নেতা জানি না৷ সবাই দলের ঝান্ডা ধরেছে৷ দলের ঝান্ডা ধরলেই নেতা হওয়া যায় না৷ অনেকে মধুর লোভে দলে হাজির হয়৷ এরাও সেখানে থাকতে পারে৷ আমরা এ-নিয়ে খোঁজ নিচ্ছি৷ এমন ঘটনা সত্যিই ঘটে থাকলে দলের জেলা সভানেত্রীকে ব্যবস্থা নিতে বলব৷”