মালদা, 6 অগস্ট : প্রতিবেশীর সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে হাইকোর্টে মামলা চলছে রতুয়া থানার পশ্চিম রুকুন্দিপুরের এক পরিবারের ৷ সেই পরিবারের এক সদস্য ব্লকের অস্থায়ী কর্মী ৷ সেই মামলা সংক্রান্ত কারণেই ব্লকের ওই অস্থায়ী কর্মীকে থানায় ডেকে মারধর ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে । এই ঘটনায় পুলিশ সুপারের কাছে ওই অফিসারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নিগৃহীত ওই যুবক ৷ ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপার ।
নিগৃহীত যুবকের নাম মীর রাজু আলি । বাড়ি রতুয়া থানার পশ্চিম রুকুন্দিপুর গ্রামে । তিনি রতুয়া 1 নম্বর ব্লকের অস্থায়ী কর্মী । তাঁর অভিযোগ, দু’বিঘা জমি নিয়ে এক প্রতিবেশীর সঙ্গে তাঁদের কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলছে । কিন্তু প্রতিবেশী বারবার তাঁদের নামে মিথ্যে মামলা করছেন । গত 25 জুলাই রতুয়া থানার সাব ইন্সপেকটর রেজাউল করিম তাঁদের বাড়িতে যান । পুলিশ অফিসার সেদিনই সন্ধ্যা সাতটার সময় জমির সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে থানায় যেতে বলেন তাঁদের ৷ নির্ধারিত সময় তাঁরা থানায় যান । জমি সংক্রান্ত এই মামলা ইতিমধ্যেই হাইকোর্টে চলছে । তারপরও তাঁদের থানায় ডাকার কারণ জানতে চান তাঁরা ৷ পাশাপাশি মিথ্যে মামলা দায়ের করার কথা বলতেই ওই অফিসার মীর রাজুর গলা চেপে ধরেন বলে অভিযোগ তাঁর ।
মীর রাজু বলেন, "তিনি আমাকে মারধর শুরু করেন । আমাকে বলেন, 'তোমাকে প্রাণে মেরে ফেলব' । তাঁকে আমি বলি, হাইকোর্টে বিচারাধীন মামলা নিয়ে আপনি কিছু করতে পারেন না । তাহলে আদালতের অবমাননা হবে । সেকথা শুনে তিনি আরও খেপে যান । আমাকে জাল নোটের মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন । আর কথা না বাড়িয়ে আমরা থানা থেকে বেরিয়ে আসি । আমি ব্লকের একজন অস্থায়ী কর্মী । আমাদের সঙ্গেই যদি পুলিশ এমন আচরণ করে তবে সাধারণ মানুষের কী হবে ? এনিয়ে আমরা খুব আতঙ্কে রয়েছি । আমি গোটা ঘটনা জানিয়ে এই অফিসারের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি । এই অফিসারের বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে আমরা সপরিবারের আত্মহত্যা করতে বাধ্য হব ।"