একুশের ভোটের আগে মালদায় অনুষ্ঠিত হল কংগ্রেসের ইনটাকের জেলা সম্মেলন
ইনটাকের জেলা সম্মেলন হল মালদায় ৷ দীর্ঘ 14 বছর পর কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের এই সম্মেলন ঘিরে কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ লক্ষ্য করা যায় ৷
মালদা,26 ফেব্রুয়ারি : দীর্ঘ 14 বছর পর মালদায় অনুষ্ঠিত হল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন, ইনটাকের জেলা সম্মেলন। আজ মালদা শহরের একটি প্রেক্ষাগৃহে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি কামরুজ্জামান কামার, জেলা সভানেত্রী লক্ষ্মী গুহ সহ রাজ্য ও জেলাস্তরের নেতৃত্ব। তবে কথা থাকলেও এই সম্মেলনে হাজির হতে পারেননি সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি জি সঞ্জীব রেড্ডি। সংগঠনের কয়েকশো কর্মী সম্মেলনে অংশ নেন।
কামরুজ্জামান কামার বলেন, "একসময় মালদা জেলায় আমাদের সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন প্রয়াত বিশ্বনাথ গুহ। তাঁর মৃত্যুর পর বেশ কিছুদিন এই জেলায় সংগঠনের সমস্যা চলছিল। বর্তমানে বিশ্বনাথবাবুর স্ত্রী লক্ষ্মী গুহকে আমরা জেলা সভানেত্রী করেছি। তাঁর নেতৃত্বে এই জেলায় সংগঠন ফের শক্তিশালী হয়ে উঠছে। রাজ্যে একমাত্র এই জেলাতেই আমাদের সংগঠনের সভাপতি কোনও মহিলা। এই জেলায় বড় শিল্প নেই। তবে আমবাগান, বিড়ি, নির্মাণ ও মনরেগা শ্রমিক রয়েছে। আমরা এদের সংগঠিত করার চেষ্টা করছি। একসময় সংগঠন ক্ষয়িষ্ণু হলেও এখন আমরা ফের ঘুরে বেড়াচ্ছি। এর মধ্যে আমরা মনরেগা শ্রমিক ইউনিয়ন করেছি। এরই মধ্যে তার সদস্য সংখ্যা এক লাখ 15 হাজার হয়েছে। আশা করছি, বছরের শেষে এই সংখ্যাটা পাঁচ থেকে ছ'লাখ হয়ে যাবে। মালদা ও মুর্শিদাবাদে প্রায় 10 লাখ নির্মাণ শ্রমিক রয়েছে। আমরা তাদের সিংহভাগকে আমাদের সংগঠনের নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। কারণ, এই দুটি জেলাই কংগ্রেস প্রভাবিত। তবে আমরা সব জেলাতেই সংগঠন বাড়ানোর দিকে নজর দিয়েছি।"
ইনটাকের রাজ্য সভাপতি আরও বলেন, "আমরা মালদার রেশম শ্রমিকদের নিজেদের সংগঠনে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। একসময় এই জেলায় রেশম শ্রমিকদের ইউনিয়ন থাকলেও এখন তা আর নেই। আমরা ফের এদিকে নজর দিচ্ছি একইভাবে আমরা নজর দিচ্ছি পরিযায়ী শ্রমিকদের দিকেও। লকডাউনে এই জেলার কুড়ি জন পরিযায়ী শ্রমিক মারা গেলেও তাদের পরিবার কোনও সরকারি সহায়তা পায়নি। এনিয়ে আমার সঙ্গে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রীর কথা হয়েছে। তিনি মার্চের প্রথম সপ্তাহে বোর্ডের বৈঠক ডাকার আশ্বাস দিয়েছেন। বোর্ডের সদস্য হিসাবে আমি ওই বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করব। সামনে বিধানসভা ভোট। আমাদের কর্মীরা সব জায়গায় দলীয় এবং জোটের প্রার্থীদের জেতাতে ঝাঁপিয়ে পড়বে। জেলার দলীয় কর্মীরা যদি লক্ষ্মী গুহকে কোনও আসনে প্রার্থী করার দাবি তোলে, আমি সেই দাবি দলের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়ে সেই আসন দাবি করব। কেন্দ্রে এখন একটা ফ্যাসিবাদী সরকার চলছে। আর রাজ্যে চলছে পিসি-ভাইপোর সরকার। এই দুই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে।"