পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / city

আধার কার্ড সংশোধনে দালাল রাজের অভিযোগ

আধার কার্ড সংশোধনকে কেন্দ্র করে মালদায় সক্রিয় দালাল চক্র । স্থানীয় কিছু ব্যক্তি সকালে এসে একাধিক কুপন সংগ্রহ করে নিচ্ছে । পরে দূরপ্রান্ত থেকে আধার কার্ড সংশোধন করতে আসা মানুষদের কাছে চড়া দামে সেই কুপন বিক্রি করছে। কুপন ফুরিয়ে গেলে কুপনের জন্য অগ্রিম বুকিং হচ্ছেও বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই দালালচক্রের সঙ্গে আধার সংশোধনের কিছু কর্মী জড়িয়ে রয়েছে বলে অনুমান করছেন গ্রাহকরা।

malda aadhar panic
আধারকার্ড সংশোধনে দালাল রাজের অভিযোগ

By

Published : Mar 17, 2020, 7:30 PM IST

মালদা, ১৭ মার্চ : আধার কার্ড সংশোধনে দালাল রাজের অভিযোগ জেলা প্রশাসনিক ভবনে। সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য় প্রশাসনিক ভবনে আধার সেবা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। অথচ প্রশাসনের নাকের ডগায় গজিয়ে উঠেছে দালাল চক্র। দালাল চক্রের ফাঁদে পা দিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। যদিও, ঘটনা প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি জেলা প্রশাসনিক কর্তারা। তবে কী প্রশাসনের নাকের ডগাতেই চলতে থাকবে দালাল রাজ, আপাতত সেই প্রশ্নের উত্তরের সন্ধানে সাধারণ মানুষ ।

কেন্দ্রীয় সরকারের CAA ঘোষণার পর থেকেই আধার কার্ড সংশোধন ও তৈরিতে হিড়িক পড়েছে। ভোর রাত থেকেই ব্যাঙ্কের সামনে পড়ছে লম্বা লাইন। প্রতিদিন প্রায় কয়েক হাজার মানুষকে ঘুরে যেতে হচ্ছিল। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আধার সেবা কেন্দ্র খোলা হয়। জেলা প্রশাসনিক ভবনের গ্রামোন্নয়ন ভবনে এই কেন্দ্র খোলা হয়। প্রথম দিকে লাইনের ভিত্তিতে আধার সংশোধনের কাজ চললেও পরে তা কুপন ভিত্তিতে করা হয়। সূত্র নারফত জানা গেছে, প্রতিদিন প্রথমে আসা ৭৫ জনকে কুপন দেওয়া হয়। সেই কুপনের সিরিয়াল অনুযায়ী সংশোধনের কাজ হয়। অভিযোগ, সেই কুপনের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গজিয়ে উঠেছে দালাল চক্র।

স্থানীয় কিছু ব্যক্তি সকালে এসে একাধিক কুপন সংগ্রহ করে নিচ্ছে । পরে দূরপ্রান্ত থেকে আধার কার্ড সংশোধন করতে আসা মানুষদের কাছে চড়া দামে সেই কুপন বিক্রি করছে। কুপন ফুরিয়ে গেলে কুপনের জন্য অগ্রিম বুকিং হচ্ছেও বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই দালালচক্রের সঙ্গে আধার সংশোধনের কিছু কর্মী জড়িয়ে রয়েছে বলে অনুমান করছেন গ্রাহকরা।

আজ মালদা জেলা প্রশাসনিক ভবনে আধার কার্ড করতে এসেছিলেন বাধাপুকুরের বাসিন্দা ফিরদৌসী খাতুন। আধার সেবা কেন্দ্রের সামনে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক কাউকে খুঁজতে দেখা যায় তাঁকে। পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমি আধার কার্ড করতে এসেছি। বেশ কয়েকবার এসে কুপন না পেয়ে ঘুরে যেতে হয়েছে। গতকালও এসেছিলাম। কিন্তু কুপন পাইনি। সেই সময় এক ব্যক্তি এসে বলে ৫০০ টাকার বিনিময়ে সে আমার জন্য কুপনের ব্যবস্থা করে দেবে। আমি তাকে ৫০০ টাকা দিলে সে আজ তার সঙ্গে দেখা করে কুপন সংগ্রহ করতে বলে। কিন্তু আজ এখানে এসে ওই ব্যক্তির দেখা পাচ্ছি না।” প্রশাসনিক ভবনে দালাল রাজ নিয়ে প্রশ্ন করতে গেলে এপ্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি জেলার প্রশাসনিক কর্তারা। যেখানে জেলা প্রশাসনের উচিত দালাল রাজ বন্ধ করা, সেখানে প্রশাসনের নাকের ডগাতেই চলছে দালালচক্র ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details