কলকাতা, 20 অগাস্ট : বাংলাদেশের যুবক-যুবতিদের দরিদ্রতার সুযোগ নিয়ে ভারতে পাচার । তারপর এদেশে তাদের যৌন পেশায় নামতে বাধ্য করা । দিল্লির জেবি রোড হোক কিংবা কলকাতার সোনাগাছি, একটু খুঁজলেই দেখা যাবে এইরকম যুবক-যুবতিদের ৷ ভারতে কাজ পাইয়ে দেওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে ওদের ঠেলে দেওয়া হয় যৌন পেশার অন্ধকূপে । এইধরনের চক্র কাজ করছে অনেকদিন ধরেই । বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত আন্তর্জাতিক পাচারবিরোধী সংগঠনগুলোও । অন্যদিকে নারী পাচার ঠেকাতে সক্রিয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী । তাদের সক্রিয়তায় গতকাল উদ্ধার করা হয় দুই যুবতিকে ।
সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে উত্তর 24 পরগনার রানাঘাট বর্ডার আউটপোস্টের কাছে একটি মোটরবাইকের সন্দেহজনক গতিবিধি দেখতে পান BSF-এর এক জওয়ান । তিনি দেখেন দুই মহিলা আরোহীকে নিয়ে এক যুবক বাইক চালাচ্ছে ৷ সন্দেহ হওয়ায় ওই যুবককে বাইক থামাতে বলেন ৷ তখন ওই যুবক যুবতিদের নামিয়ে বাইক ফেলে রেখে চম্পট দেয় ৷ যুবতিদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ৷ জানা যায়, একজনের বয়স 24 বছর । সে বিধবা । বাড়ি বাংলাদেশের কুমিল্লায় । অন্যজনের বয়স 19 বছর । বাড়ি বাংলাদেশে । সংসারে অভাব ৷ সেই কারণেই কাজের খোঁজে এদেশে আসা ৷ সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় এক মানব পাচারচক্রের পান্ডার সঙ্গে যোগাযোগ । বেআইনিভাবে ভারতে ঢুকতে চেয়েছিল তারা ৷ মঙ্গলবার বিকেলে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পৌঁছায় । ওপার থেকে ফোনে এক নারী পাচার চক্রের কিংপিনের সঙ্গে কথা বলে ওই বাংলাদেশি মানব পাচার চক্রের পান্ডা । ভারতীয় নারী পাচার চক্রের ওই কিংপিনের নাম মহম্মদ রহমান দফাদার । সে ওই দুই যুবতিকে ভারতে কাজের ব্যবস্থা করবে বলে কথা দেয় । সঙ্গে জানায় সীমান্ত পার করার পর মোটরবাইক নিয়ে এক যুবক তাদের পৌঁছে দেবে একটি বিউটি পার্লারে । সেখানেই তাদের কাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে ।