কলকাতা, 22 এপ্রিল : 2021-এর বিধানসভা নির্বাচনে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের (Poll Strategist Prashant Kishor) ভূমিকা তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) জন্য লাভজনক ছিল ৷ সেই সাফল্যের রেশ ধরে অন্য কয়েকটি রাজ্যেও ঘাসফুল শিবিরের সঙ্গে কাজ করছেন পিকে ৷ কিন্তু সেই সম্পর্কের ভবিষ্যৎ কী ? গত কয়েকদিনে এই প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়েছে রাজ্য তথা দেশের রাজনৈতিক মহলে ৷
তার কারণ অবশ্যই প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সাম্প্রতিক সখ্যতা (PK's Relation with Congress) ৷ কিন্তু রাহুল-সোনিয়াদের সঙ্গে পিকের সম্পর্কের এই নয়া সমীকরণ কি প্রভাব ফেলবে বঙ্গ রাজনীতিতে ? এই প্রশ্ন তুলছে কোনও কোনও মহল ৷ কারণ, জাতীয়স্তরে যদি পিকে কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করেন, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই তিনি বাংলার কংগ্রেসের সংগঠন মজবুত করতে কাজ করবেন ৷ সেক্ষেত্রে তৃণমূলের অন্দরে থেকে পিকে-র যাবতীয় অভিজ্ঞতা কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে দুর্বল করতে কার্যকরী হবে ? উঠছে এই প্রশ্নও ৷
সাম্প্রতিক অতীতে প্রশান্ত কিশোর এবং তৃণমূল কংগ্রেসের দূরত্ব কোথাও যেন কালীঘাট বনাম ক্যামাক স্ট্রিটের দ্বন্দ্ব হিসাবেই দেখছিল ওয়াকিবহাল মহল । দলের প্রাচীনপন্থী শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে অপেক্ষাকৃত যুব তথা তরুণ মুখ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (TMC National General Secretary Abhishek Banerjee) দ্বন্দ্বের পেছনেও অনেকে বলেন প্রশান্ত কিশোরের ভাবনার প্রতি অভিষেকের সমর্থন ছিল । এখন প্রশ্ন হচ্ছে, শেষ পর্যন্ত যদি প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেসে যোগ দেন, তাহলে কি দলের মধ্যেই একলা হয়ে পড়বেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ?
সবচেয়ে বড় প্রশ্ন প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক ভোট কুশলী হিসাবে তৃণমূলের সঙ্গে কাজ করছে যে সব রাজ্যে, সেখানে আগামিদিনে কি হবে ? একা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC Chairperson Mamata Banerjee) নন, এমন অনেকেই আছেন যাঁরা প্রশান্ত কিশোরের কাছ থেকে নির্বাচনী কৌশল ঠিক করার জন্য সাহায্য নিলেও বিজেপি এবং কংগ্রেসের থেকে সমদূরত্ব বজায় রেখে চলেন, আগামী দিনে তাদের ভবিষ্যৎ কি হবে ? আগামী দিনে কি কংগ্রেস মুক্ত ভারতের স্বপ্ন যেমন বিজেপির জন্য কঠিন হতে পারে ? অ-কংগ্রেসি অ-বিজেপি আঞ্চলিক শক্তিগুলিকে এক ছাতার তলায় এনে যাঁরা জোটের কথা ভাবেন, তাদের ভবিষ্যৎ কি হবে ?