কলকাতা, 3 জুন : বঙ্গ-রাজনীতির চাণক্য ৷ তৃণমূলে থাকাকালীন এই তকমাই সেঁটে গিয়েছিল মুকুল রায়ের নামের সঙ্গে ৷ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলতেন, তৃণমূলের সাফল্যের অন্যতম কান্ডারি ছিলেন তিনি ৷ একেবারে বুথস্তর পর্যন্ত কর্মীদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল ৷
2017 সালের সেপ্টেম্বর থেকে মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তনী ৷ মাসখানেক দলহীন থাকার পর তিনি বিজেপির সঙ্গে রয়েছেন ৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর গুরুত্বও বেড়েছে গেরুয়া শিবিরে ৷ এখন তিনি দলের জাতীয় স্তরে অন্যতম সহ-সভাপতি ৷
কিন্তু সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবির পর মুকুল রায়কে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল ৷ তাঁর মতো ‘চাণক্য’ থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এই ফল হল, সেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা ৷ তার উপর ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে একেবারে নীরবই রয়েছেন মুকুল রায় ৷ ফলে একই সঙ্গে এই প্রশ্নও উঠছিল যে তাহলে কি বিজেপিতে মুকুল রায়ের গুরুত্ব কমতে শুরু করেছে ?
আরও পড়ুন :মুকুল-জায়াকে দেখতে হাসপাতালে অভিষেক, শুভ্রাংশুর সঙ্গে কথা
কিন্তু বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল, যে পরিস্থিতি তৈরি হল রাজ্যে তাতে মুকুলকে ঘিরে কয়েকটি প্রশ্ন মুকুলিত হয়ে উঠল ৷ মুকুল রায় কি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরতে চলেছেন ? তাঁকে দলে ধরে রাখতে কি মরিয়া বিজেপি ? নাকি সামগ্রিক বিষয়টির মধ্যে রয়েছে শুধু সৌজন্য ?
এই প্রশ্নের উত্তরের সন্ধান করার আগে উল্লেখ করা যাক এই প্রশ্নগুলি কেন উঠছে ৷ কারণ, বুধবার সন্ধ্যায় আচমকা বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে হাজির হয়েছিলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি সেখানে করোনায় আক্রান্ত মুকুল রায়ের স্ত্রীর স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন ৷ সূত্রের খবর, সেখানেই তাঁর সঙ্গে মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশুর দেখা হয় ৷ কথাও হয় ৷ অভিষেক চলে যাওয়ার পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সেখানে হাজির হন ৷ বৃহস্পতিবার সকালে আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফোন করেন মুকুল রায়কে ৷ আর এখান থেকেই ওই প্রশ্নগুলি উঠছে ৷ যদিও মুকুল জানিয়েছেন, অভিষেকের দেখা করার পিছনে কোনও রাজনীতি নেই ৷