কলকাতা, 25 অগাস্ট : আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে বিধানসভার বাদল অধিবেশন । আপাতত দু'দিন অধিবেশন বসবে বলে জানা যাচ্ছে । মঙ্গলবার বিধানসভার BA কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে অধিবেশন কতদিন চলবে । পৌরনিগম এবং পৌরসভা নির্বাচনের আগে সরকার বেশ কয়েকটি বিল আনতে চাইছে বলে জানিয়েছেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ।
অধিবেশনে 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি নিয়ে শাসকদলকে চেপে ধরতে পারে বিরোধীরা । পাশাপাশি আগামীকাল সকালে বাম ও কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে অধ্যক্ষের প্রতি অনাস্থা আনা নিয়ে । তাদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ নিরপেক্ষভাবে বিধানসভা চালাচ্ছেন না । ইচ্ছা অনুযায়ী বিরোধী বিধায়কদের বলার সময় কমিয়ে দিচ্ছেন । সরকার বিরোধী কোনও প্রশ্ন করলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রীরা উত্তর দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান । বিধানসভায় অসত্য তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ তুলেছেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী ।
এবার তাই বিধানসভার অধ্যক্ষের অধিবেশন চালানো নিয়ে প্রশ্ন তুলছে রাজ্যের দুই প্রধান বিরোধী দল ।
বিরোধী বিধায়কদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী সব প্রশ্নের উত্তর কেন দেন? কেনই বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রীকে তাঁর দপ্তরের প্রশ্নের উত্তর দিতে দেন না । তাঁদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী যে তথ্যগুলি দেন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেগুলি অসত্য এবং বিভ্রান্তিমূলক । সব দপ্তরের কাজের খতিয়ান মুখ্যমন্ত্রীর মনে রাখা সম্ভব নয় । তা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রীকে উত্তর দেওয়ার সময় জোর করে বসিয়ে দিয়ে তিনি যে উত্তর বিধানসভায় রেকর্ড করেন, সেগুলি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অসত্য ।
অতীতেও দেখা গেছে বাম এবং কংগ্রেস যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তারা অনাস্থা আনবে । কিন্তু অনাস্থা আনতে গেলে সংশ্লিষ্ট বিধানসভার নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট দিন বিধানসভার অধিবেশন চালাতে হয় অধ্যক্ষকে । কিন্তু অনাস্থা প্রস্তাব আনার জন্য প্রয়োজনীয় দিন অধিবেশন হয়নি । ঠিক সেই কারণে নোটিশ দিলেও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে পারেনি বাম এবং কংগ্রেস ।
সূত্রের খবর, কাটমানি ও 'দিলিকে বলো' কর্মসূচি নিয়ে সরকারকে চেপে ধরতে পারে বাম এবং কংগ্রেস । রাজ্যে নতুন বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান নিয়েও ঝড় তুলতে পারে বিরোধীরা । পাশাপাশি কচুয়া ধামে দুর্ঘটনা নিয়ে সরকারের কাছে জবাব চাইতে পারে তারা । বিরোধীদের বক্তব্য, রাজ্য সরকারের ভূমিকা ঠিক ছিল না ।