পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / city

30 জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে রাজ্যের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই বিষয়ে বলেন, “10জুন পর্যন্ত রাজ‍্যের সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার নির্দেশ ছিল । উপাচার্য পরিষদ 30জুন পর্যন্ত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সুপারিশ জানায় । বিষয়টি নিয়ে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছি । বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে আবার কথা বলেছি । তাঁদের অনুরোধ মেনে নিয়ে 30 জুন পর্যন্ত কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা বিভাগ বন্ধ থাকবে । তবে প্রশাসনিক বিভাগ 10জুন পর্যন্ত যেভাবে চলার ব্যবস্থা করা হয়েছিল সেইভাবেই তাঁরা ব্যবস্থা করবেন । তাঁরাই ঠিক করবেন কীভাবে প্রশাসনিক বিভাগ চলবে ।  কত সংখ্যক লোক কাজ করবেন ।”

partha
partha

By

Published : May 31, 2020, 7:46 PM IST

কলকাতা,31 মে : জুনের 30 তারিখ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে রাজ্যের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় । তবে আগের মতো প্রশাসনিক কাজ চলবে বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলিতে । শিক্ষাদপ্তর থেকে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করে বিষয়টি জানানো হয়েছে ।

29 মে রাজ্যের উপাচার্য পরিষদ বৈঠক করে । এই পরিষদে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যরা রয়েছেন । বৈঠকে আলোচনার পর উচ্চশিক্ষা দপ্তরের পারিষদের তরফে সুপারিশ জানানো হয় । 30 জুন পর্যন্ত রাজ্যের সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার আবেদন জানানো হয় ।

উপাচার্য পরিষদের সেই সুপারিশ মেনে নিল উচ্চশিক্ষা দপ্তর । আজ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, 30জুন পর্যন্ত রাজ্যের সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা বিভাগ বন্ধ থাকবে । তবে আগের মতোই প্রশাসনিক কার্যকলাপ অব্যাহত থাকবে প্রতিষ্ঠানগুলিতে । এই বিষয়ে জারি হয়েছে নির্দেশিকাও ।

শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই বিষয়ে বলেন, “10জুন পর্যন্ত রাজ‍্যের সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার নির্দেশ ছিল । উপাচার্য পরিষদ 30জুন পর্যন্ত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সুপারিশ জানায় । বিষয়টি নিয়ে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছি । বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে আবার কথা বলেছি । তাঁদের অনুরোধ মেনে নিয়ে 30 জুন পর্যন্ত কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা বিভাগ বন্ধ থাকবে । তবে প্রশাসনিক বিভাগ 10জুন পর্যন্ত যেভাবে চলার ব্যবস্থা করা হয়েছিল সেইভাবেই তাঁরা ব্যবস্থা করবেন । তাঁরাই ঠিক করবেন কীভাবে প্রশাসনিক বিভাগ চলবে । কত সংখ্যক লোক কাজ করবেন ।”

30জুন পর্যন্ত কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলে পরীক্ষা কীভাবে নেওয়া হবে সেই প্রশ্ন করা হয় । উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "এগুলি নিয়েও উপাচার্যরা আলোচনা করেছেন । আমি যতদূর জানি, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগগুলি একটা নিয়মে, বিজ্ঞান এবং কলা বিভাগ অন্য নিয়মে পরীক্ষা নিতে চায় । এইবিষয়ে এখনও একমত হতে পারেননি উপাচার্যরা । তাঁরা আবার বৈঠক করবেন । সেই অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষা দপ্তর ব্যবস্থা নেবে।"

আগের নির্দেশিকা অনুযায়ী আগামী 29জুন থেকে উচ্চমাধ্যমিকের বাকি থাকা পরীক্ষাগুলি শুরু হবে । অথচ, 30জুন পর্যন্ত কন্টেনমেন্ট জ়োনগুলিতে লকডাউন চালিয়ে নিয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র । তাহলে কী করে 29জুন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে এই প্রশ্নও করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে । তিনি বলেন, "আমরা যতদূর জানি, 15জুন পর্যন্ত এই রাজ্যে লকডাউনের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী । পরবর্তী কিছু বদল হলে সেই অনুযায়ী আবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে ।"

শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, কেন্দ্র নির্দেশ দিচ্ছে । তার জন্য হওয়া ক্ষতি বাবদ শিক্ষাদপ্তর মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে আর্থিক সাহায‍্যের দাবি জানিয়েছে । ইতিমধ্যে শিক্ষাদপ্তরের প্রধান সচিব মণীশ জৈন লিখিতভাবে রাজ্যের তরফে তাদের কাছে একটা দাবি পেশ করেছেন ।

উচ্চমাধ্যমিকের বাকি থাকা পরীক্ষাগুলির জন্য পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্য আরও বাড়ানো হতে পারে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় । যতটা সম্ভব পড়ুয়াদের বাড়ির কাছেই পরীক্ষাকেন্দ্র করার চেষ্টাও করা হচ্ছে বলে জানান তিনি । শিক্ষামন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়াতে হলে আমরা সেই সংখ্যা বাড়াব । সেই লক্ষ্যেই উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ শিক্ষাদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করে চলেছে ‌। পড়ুয়াদের ঠিকানা নথিভুক্ত আছে । আমাদের তিনটি পরীক্ষা বাকি আছে । যথাক্রমে 2 লাখ 7 হাজার, 2 লাখ 16 হাজার ও 2 লাখ 44 হাজার পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেবেন । সেদিকে লক্ষ্য রেখেই তিন হাজার পরীক্ষাকেন্দ্র করেছিলাম । সেগুলো আরও বাড়িয়ে দেওয়া হবে । একটা বেঞ্চে একজন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে । আমরা হিসাব করে দেখেছি, একটা পরীক্ষাকেন্দ্রে 80-100 জনের বেশি ছাত্র বা ছাত্রী পরীক্ষা দিতে পারবেন না ।

তবে, সবকিছুর উর্ধ্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ । তা আবারও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন শিক্ষামন্ত্রী । তিনি বলেন, আমাদের কাছে পরীক্ষাটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্যসুরক্ষার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ । অভিভাবক, শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়েও ভেবেছি । মাস্ক ও স্যানিটাইজ়েশন বাধ্যতামূলক । সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা আবশ্যক হবে পরীক্ষা কেন্দ্রে ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details