কলকাতা, 13 জুন : কেউ ছ'মাস কেউ বা এক বছর । অনেক লড়াই করে বার করেছিলেন সময় । সেই মতো হাজির হয়েছিলেন ডাক্তার দেখাতে । কিন্তু, ডাক্তার দেখানো তো দূরঅস্ত হাসপাতাল চত্বরেও ঢুকতে পারলেন না অনেকে । 60 ঘণ্টা কেটে গেছে । এখনও স্বাভাবিক হল না রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা । চরম আতান্তরে রোগীর পরিবার, আত্মীয়রা । প্রশ্ন একটাই, কবে-কখন স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি ।
শুরুটা হয়েছিল সোমবার রাত থেকে । জুনিয়র ডাক্তারকে হেনস্থা ও মারধরের প্রতিবাদে কর্মবিরতি শুরু হয়েছিল । NRS, SSKM থেকে শুরু হওয়া আন্দোলন দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে । একের পর এক সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা শিকেয় ওঠে । মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ দাবি করে এখনও নিজেদের দাবিতে অনড় চিকিৎসকরা । আর যার জেরে হাসপাতালের দরজা থেকে ফিরে আসতে হচ্ছে রোগীদের । আজ সকাল থেকে বিভিন্ন হাসপাতালের জরুরি বিভাগ- বর্হিবিভাগের সামনের ছবিটা একই রকম । রোগীদের লম্বা লাইন কোথাও কোথাও হাসপাতাল চত্বর ছাড়িয়ে রাস্তায় নেমে এসেছে । যদিও, চিকিৎসকদের দেখা নেই কোথাও ।
টানা দু'দিনের বেশি সময় ধরে চলা প্রতিবাদ-বিক্ষোভের জেরে বর্হিবিভাগ, জরুরিবিভাগের পাশাপাশি অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিভাগগুলিতেও অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে । ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাসপাতালের সামনে বসে মেজাজ হারাচ্ছেন রোগীদের পরিবার-পরিজনেরাও । যেমন বর্ধমান থেকে হার্টের চিকিৎসা করাতে বাবাকে নিয়ে এসেছিলেন তারক পাত্র । কিন্তু দু'দিন ধরে NRS-এর চিকিৎসকরা বিন্দুমাত্র ঘুরেও তাকাননি তাঁদের দিকে । বাবার স্বাস্থ্য ক্রমেই অবনতি হচ্ছে । স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ ছড়িয়েছে তারকবাবুর মতো আরও অনেকের মনে । প্রশ্ন একটাই, যাদের কাজ মানুষের সেবা করা তাঁরা কীভাবে দিনের পর দিন এমন অচলাবস্থা তৈরি করছেন ।
এই সংক্রান্ত আরও খবর : "ভালো আছি", বললেন পরিবহ ; পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ার আশায় সাধারণ মানুষ