কলকাতা, 24 ডিসেম্বর : রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সংঘাত অপ্রত্যাশিত মোড় নিল ৷ তাঁকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে ৷ ওই জায়গায় আচার্য করা হতে পারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (wb education minister says govt wants to make mamata banerjee as chancellor of universities) ৷
শুক্রবার কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে আয়োজিত এক সাংবাদিক বৈঠকে এমনই মন্তব্য করেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ৷ তিনি জানিয়েছেন, এখনই কিছু চূড়ান্ত হয়নি ৷ তবে এই প্রক্রিয়ার সাংবিধানিক দিকটি খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে ৷
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, গত 20 ডিসেম্বর রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় একটি বৈঠক ডাকেন ৷ সেই বৈঠকে তিনি আমন্ত্রণ জানান রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির 11 জন উপাচার্য ও আচার্যকে ৷ কিন্তু ওমিক্রন পরিস্থিতির যুক্তি দেখিয়ে বৈঠকে হাজির হননি তাঁরা ৷
এখান থেকেই চাপানউতোরের শুরু ৷ হাল না ছেড়ে 23 ডিসেম্বর আবার বৈঠক ডাকা হয় ৷ করোনা বিধি মেনে বৈঠক হবে বলেও রাজভবনের তরফ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয় ৷ তার পরও বৈঠকে কেউ হাজির হননি ৷
এই নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ হন ধনকড় ৷ তিনি টুইটারে ক্ষোভ উগড়ে দেন ৷ কাঠগড়ায় তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে ৷ এই নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, যেহেতু রাজ্যপাল কোনও সহযোগিতা না করে শুধু শুধু ফাইল আটকে রাখেন, তাই রাজ্যপালকে সরিয়ে আচার্যর পদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে বসানো যায় কি না সেই ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করবে রাজ্য শিক্ষা দফতর । তাঁরা এই নিয়ে চিন্তা করতে বাধ্য হচ্ছেন বলেও দাবি করেন ব্রাত্য ।
আরও পড়ুন :WB Governor Jagdeep Dhankhar : এখানে শাসকের আইনই আইন, শিক্ষা নিয়ে রাজ্যকে আক্রমণ রাজ্যপালের
এখন প্রশ্ন উঠছে, সত্যিই কি তা করা সম্ভব ? কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আচার্যের দায়িত্ব পালন করেন প্রধানমন্ত্রী ৷ এখন যেমন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পদাধিকার বলে আচার্য নরেন্দ্র মোদি ৷ আর রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হন রাজ্যপাল ৷ ধনকড়ের সঙ্গে সংঘাতের জেরে আই সেই প্রথার বদল ঘটাতে চায় রাজ্য সরকার ৷